আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের আলোচনা। আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ডিজািইন বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র । যারা নিজের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগানো চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন । বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে এই কাজের চাহিদা ব্যাপক।

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন মূল কাজেই হচ্ছে অফিস বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের লাইট, আসবাসপত্র এবং গৃহসজ্জা সামগ্রী যথাযথ স্থানে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান বা বাড়িকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা। 

আর্কিটেকচার বলতে বুঝায় স্থাপনার ডিজাইন বা নকশা করা এবং যারা এই কাজ করে বা এই কাজের সাথে জড়িত বা এই কাজের নকশা তৈরি করে তারাই হলো স্থপতি বা আর্কিটেক্ট। 

বর্তমান সময়ে আধুনিকতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কোনো বিকল্প নেই । মানুষ নিজের সৃজনশীলতাকে বিকাশ ঘটিয়ে আবাসস্থল ও অফিস-আদালত,হাসপাতাল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান  থেকে শুরু করে সব কিছুর সুন্দর বা আকর্ষনীয় করতে চায়।  আবাসস্থলের দরজা, জানালা, মেঝে, আসবাবপত্র, ঘরের কাপড়গুলো কোন জায়গা রাখতে হবে এবং দেওয়ালের রং কোমন হবে সে হিসাবটাও করে দেন একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মোটকথায় বলা চলে স্থাপনার ভিতরের ও বাহিরের রঙ,সঠিকভাবে সকল জিনিসপত্র ডিজাইন ও রঙে থেকে শুরু করে স্বল্প জায়গাকে কীভাবে বেশী করে ব্যবহার করা যায়,  এরকম  যাবতীয় ডিজাইন ও সঠিক বাস্তবায়ন করাটাই একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ। 

House Construction and Building Steps With Pictures

আর্কিটেকচার: 

একজন আর্কিটেকচারের মূলভাব হলো ভবন নির্মাণ আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে এবং কাঠামো শক্তিশালী হবে । বাংলাদেশের একটি ভবন হলো বাংলাদেশ ভবন, যাতে আধুনিক আর্কিটেকচারের মূলভাব ব্যবহার করা হয়েছে ।

আধুনিক আর্কিটেকচারের কিছু মূলভাব নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতিতে মূলত দুটি সাইট থাকে- প্রথমটি হলো, অফ-সাইট এবং দ্বিতীয়টি হলো অন-সাইট। অফ-সাইট দ্বারা দ্রুত ইমারত স্থাপনাকে বুঝায় এবং অন-সাইট দ্বারা শক্তিশালী নির্মাণপদ্ধতিকে বুঝায়।
  2. এটি যথাযথ নির্মাণকেীশল।
  3. এটি একদিকে যেমন মডুলার পদ্ধতি, অপরদিকে বড় প্যানেল পদ্ধতি।
  4. এটির  ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন পদ্ধতি খুবই অধ্যাধুনিক।
  5. বিশেষজ্ঞ দ্বারা এই নির্মাণপদ্ধতির উপকরণসমূহের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
  6. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতির মধ্যে এটি একটি আদর্শ পদ্ধতি ।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন:

ইন্টেরিয়র শব্দটি এসেছি ল্যাটিক শব্দ Into থেকে । যার অর্থ হলো ভিতরে, এর সঙ্গে এড হয়েছে ডিজাইন শব্দ – যার অর্থ হলো নকশা । ইন্টেরিয়র ডিজাইন শব্দের অর্থ হলো- ভিতরের বা অভ্যন্তরীন নকশা করা। যেমনঃ একটি বাড়ি তৈরি করার পর এর ভিতরে কি ধরনের সাজসজ্জা হবে তা নিয়ে বাড়ির মালিককে ভাবতে হয় তখন প্রয়োজন পড়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বাড়ির কাঠামো ও নকশা দেখে ঠিক করে : বেডরুম থেকে শুরু বাড়ির সকল রুম , দেওয়াল , জানালা, পর্দা ইত্যাদি কী ধরনের হলে বাড়িটি সুন্দর দেখাবে তা ঠিক করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

আরও পড়ুন:

Leave a Comment