Site icon Architecture Gurukul [ আর্কিটেকচার গুরুকুল ] GOLN

কিস্তোয়ার জরিপ নকশা তৈরিকরণ ও দাগ নম্বর বসানোর নিয়ম

কিস্তোয়ার জরিপ নকশা তৈরিকরণ ও দাগ নম্বর বসানোর নিয়ম

কিস্তোয়ার জরিপ নকশা তৈরিকরণ ও দাগ নম্বর বসানোর নিয়ম – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” এর “কিস্তোয়ার জরিপের প্রাথমিক ধারণা এর ব্যবহারিক” পাঠ এর অংশ।

কিস্তোয়ার জরিপ নকশা তৈরিকরণ ও দাগ নম্বর বসানোর নিয়ম

জরিপকারীরা জিওডেসি, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, রিগ্রেশন বিশ্লেষণ, পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল, মেট্রোলজি, প্রোগ্রামিং ভাষা এবং আইনের উপাদানগুলির সাথে কাজ করে।

কস্তোয়ার জরিপ নকশা তৈরিকরণ :

কিস্তোয়ারের কাজের সাথে সাথে P-70 Sheet-এ পেন্সিলে আঁকা নকশাও হতে থাকে এবং কিস্তোয়ারের কাজ শেষে আমিনের তৈরি পেন্সিলে আঁকা নকশাটি পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করা হয়। পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে অনুমোদিত হলে নকশাটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ নকশাকরের নিকট নীল কালিতে অঙ্কনের জন্য দেয়া হয়। কিন্তু কানুনগোর সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া মৌজার সীমানা রেখা এবং আলামতে কালি দেয়া হয় না। তা ছাড়াও মৌজার নাম, নম্বর, পার্শ্ববর্তী মৌজাসমূহের নাম, নদীর নাম, উত্তর রেখা, থোকা রেখা, মুরব্বা রেখা, সিকমি রেখাতে কালি দেয়া হয় না।

নকশা অঙ্কনকালে যথাস্থানে পাকাবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, রেলপথ, পাকা রাস্তা, পাকা পিলার, মাইল পোস্ট, টেলিগ্রাফ পোস্ট, বৈদ্যুতিক টাওয়ার, ব্রিজ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর অবস্থান আলামত অঙ্কন করে দেখাতে হয়। নকশায় কালি দেয়ার পর পেন্সিলে নকশার উপরের দিকে মৌজার নাম, আমিনের নাম, জরিপ আরম্ভের তারিখ ইত্যাদি লেখা হয় এবং উত্তর রেখাও দেখানো হয়।

 

 

জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের 144 বিধি মোতাবেক কিস্তোয়ার জরিপের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুত ও সংশোধন করে আপ-টু-ডেট রেকর্ড ও নকশা প্রস্তুত করেন। রেকর্ড প্রস্তুতের ১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার 26 হতে 44 বিধি দ্বারা এটা নিয়ন্ত্রিত হয়। খানাপুরিকালে আমিনকে নিম্নোক্ত ফরমগুলো দেয়া হয় :

(ক) মৌজার কিস্তোয়ার নকশা

(খ) খালি খতিয়ান বই

(গ) খালি খসড়া বই (ঘ) আপত্তি ফর্দ

(ঙ) গো-মহিষের হিসাব ফর্স

(চ) খসড়া ও নোট লেখার জন্য সাদা কাগজ

(ছ) ডায়েরি

(জ) খতিয়ানের নকল বই বা পর্চা (প্রজাকে দেয়ার জন্য)

(ঝ) বিশেষ বিশেষ বস্তুর তালিকা ।

পি-70 শিটে মৌজার কিস্তোয়ার নকশা তৈরি সমাপ্ত হলে মাঠ পর্যায়ের জরিপ কর্মচারী (সরদার আমিন ভূমির স্বত্বাধিকারীদেরকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে প্রজাস্বত্ব বিধিমালার 26 বিধি মোতাবেক মৌজার প্রত্যেকটি প্লটে গিয়ে নিয়মানুযায়ী মালিক ও জমির বিবরণ খতিয়ান ফরম লিপিবদ্ধ করেন। কিস্তোয়ার জরিপে নিয়োজিত আমিনের মাধ্যমেই এ ফরম পূরণের (খানাপুরি) কাজ করাই উত্তম। খানাপুরি রেকর্ডের ভিত্তি হলো পূর্ববর্তী জরিপের রেকর্ড, রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র, কোর্টের রায় ইত্যাদি। কোনো বৈধসূত্র বা কাগজপত্র ব্যতিত খানাপুরিকালে খতিয়ানের ১নং কলামে মালিক হিসেবে কোনো ব্যক্তির নাম লেখা যাবে না। তবে শর্তসাপেক্ষে দখলদারের নাম মন্তব্যের কলামে লেখা যেতে পারে ।

 

 

মুদ্রিত বইয়ের যে পাতায় ভূমিসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি সংরক্ষণের নিমিত্তে, জমির চূড়ান্ত মালিকানাস্বত্ব, প্রজার নাম, পিতার নাম, মৌজার নাম ও নম্বর, দাগ নম্বর, থানার নাম, জমির বিবরণ, জমির ধরন, জমির পরিমাণ, খাজনার হার ইত্যাদি লেখা থাকে, তাকে খতিয়ান বা স্বত্বলিপি বলা হয়। এখানে একটি খতিয়ান ফরম (বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬২ সংশোধিত) ও একটি খসড়ার ফরম (বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬৪) এর নমুনা দেয় হলো।

ভূমির ফাইনাল রেকর্ড অব রাইটস্ বেশ কিছু সংখ্যক ডকুমেন্ট বা দলিলের মাধ্যমে তৈরি হয়। জমিজমা বিলি বন্দোবস্তের সুস্পষ্ট বর্ণনা খতিয়ান হতে পাওয়া যায়। জমিজমা সংক্রান্ত তথ্যাদির সুষ্ঠ বর্ণনা সংরক্ষণের সুবিধার্থে আমিনকে খালি খতিয়ান বই ও খালি খসড়া বই দেয়া হয়। আমিন সাধারণত মৌজার উত্তর-পশ্চিম কোণ হতে খানাপুরির কাজ আরম্ভ করেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণের শেষ দাগে খানাপুরির কাজ শেষ করেন । তিনি প্রথম দাগে গিয়ে কিস্তোয়ার করে ঐ দাগে একটা নম্বর দিবেন।

উদাহণস্বরূপ নম্বর-1, এর পরে দেশের সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনারের নামে 1টি খতিয়ান খুলবেন এবং খসড়ার কলামে দাগ নং, জমির শ্রেণি, ফসল ও অন্যান্য তথ্যাদি উদ্ধৃত করবেন। এর পর তিনি ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী প্লটগুলোতে যাবেন এবং একই নিয়মে খতিয়ান ও খসড়ার কলামগুলো পূরণ করবেন। তিনি ক্রমিক নম্বরে প্রত্যেকটি খতিয়ানে একটি করে নম্বরও দিবেন। চূড়ান্ত অবস্থায় দেখা যাবে কিস্তোয়ার নকশাটি রেকর্ড অব রাইটের একটি সূচিপত্রে পরিণত হবে।

এক্ষেত্রে দেখা যায়, খতিয়ানের লেখাগুলো টেনান্সি বাই টেনান্সি এবং খসড়ার লেখাগুলো ফিল্ড বাই ফিল্ড হয়ে থাকে। যদিও খসড়া রেকর্ড অব রাইটস্ এর অংশ নহে, তবে ডকুমেন্ট হিসাবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মনে রাখতে হবে, পূর্ব দাগের খানাপুরি না করে পরের দাগের খানাপুরি করা যাবে না। পূর্বের দিনে খানাপুরি করা দাগ নম্বরগুলো পরের দিন মাঠে খানাপুরিতে যাওয়ার পূর্বে নকশায় নীল কালি দিয়ে লেখতে হবে।

 

নকশায় দাগ নম্বর বসানো :

কিস্তোয়ার নকশায় দাগ নম্বর বসানোর কাজ মৌজার উত্তর-পশ্চিম কোণ হতে আরম্ভ করে ধারাবাহিকভাবে ক্রমিক নম্বর বসিয়ে (খানাপুরির সাথে সাথে) দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এসে শেষ করা হয়। একই মৌজায় একাধিক শিট থাকলে এবং আমিনও একাধিক হলে প্রতি শিটের দাগ সংখ্যা খানাপুরির পূর্বেই নির্ণয় করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতি দাগে (প্লটে) একটি করে ধান বসিয়ে প্রতি শিটের দাগের সংখ্যা নির্ণয় করে নেয়া হয়। প্রথম শিট ব্যতীত প্রত্যেকটি শিটের আমিন তার পূর্ববর্তী শিটের সমাপ্তি নম্বরের পরবর্তী কয়েকটি নম্বর বাদ দিয়ে নিজ শিটের প্রথম নম্বর নির্ধারণ করেন। খানাপুরি শেষে দু’শিটের মাঝে কয়েকটি নম্বর বাদ থাকলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না।

তবে খসড়ায় এ বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে এবং খতিয়ানে দাগ নম্বরে যেন বিভ্রান্তি না হয় এ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ছুট দাগ ও বাটা দাগ নম্বর (যদি থাকে) নকশার পাশে মন্তব্যে উল্লেখ করতে হবে এবং খতিয়ানও খসড়ায় যথাযথ স্থানে মন্তব্যে উল্লেখ করতে হবে।

 

ক্ষেত্রফল নিরূপণ ঃ

খানাপুরির পর কাগজপত্রাদি (নকশা, খতিয়ান, খসড়া) অফিসে জমা দেয়ার পর সেখানে প্রত্যেকটি দাগ ও মৌজার ক্ষেত্রফল একর শতাংশে নির্ণয় করে খসড়াও খা মাঠ বুঝারত : খতিয়ানে লেখা হয় । (বর্তমানে একর শতাংশের পরিবর্তে হেক্টরে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়।)

কিস্তোয়ার জরিপ সম্পাদনকারী আমিন বা কানুনগো মাঠ বুঝারতের কাজ করে থাকেন। বুঝারতের পূর্বে ভূমির মালিকগণকে তাদের মালিকানাধীন জমির খতিয়ানের অবিকল নকল অর্থাৎ পর্চা দিয়ে দিতে হয় এবং বুঝারতের তারিখ নোটিশ দিয়ে তাদেরকে জানানো হয়। বুঝারতকালে জরিপ কর্মচারী (আমিন বা কানুনগো) কর্তৃক মালিকদের নিকট রেকর্ড (খতিয়ান) বুঝিয়ে দেয়া হয়। কোনো ভুলত্রুটি দেখা গেলে ভূমি মালিক ও তহসিলদারের সামনেই সংশোধন করে দেয়া হয়। জটিল বিবাদ বা আপত্তির ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তা আপত্তি বা বিবাদ নিষ্পত্তি করে থাকেন।

বিভিন্ন সাধারণ আপত্তি নিষ্পত্তিতে প্রজা সাধারণ কানুনগোকে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। অবশ্য এ সকল বিষয়গুলো খানাপুরির সময় নিষ্পত্তি করে নেয়াই উত্তম। খাজনা সংক্রান্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে খতিয়ানে উদ্ধৃত করানোর জন্য ভূমি মালিক ও তহসিলদার দাখিলা (খাজনার রশিদ), খাজনার তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কার্যস্থলে উপস্থিত থাকলে কানুনগো যাবতীয় অমিল সহজেই সংশোধন করে দিতে পারেন। সংশোধিত খতিয়ান ফরমে রাজস্বের ঘরে খাজনার পরিমাণ সংক্রান্ত আপত্তি তসদিক কর্মকর্তা সুরাহা করে সংশোধন করে দিতে পারেন।

একই জমির একাধিক খতিয়ান থাকলে প্রথম খতিয়ানে খাজনা উদ্ধৃত করে অপর খতিয়ানগুলো উল্লেখ করে মন্তব্যের কলামে একই জমাভুক্ত এ নোট লেখে দিতে হবে এবং অন্যান্য খতিয়ানগুলোতে (একই জমাভুক্ত) প্রথম খতিয়ানের জের ও অন্যান্য খতিয়ানের ইজা লেখে দিতে হবে। একই জমা একাধিক বার লেখা না হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তসদিক (Attestation) :

বুঝারত শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ফিল্ড সিজনে মৌজাওয়্যারি প্রোগ্রাম করে বিধি মোতাবেক ভূমি মালিকদেরকে নোটিশ দিয়ে জানানোর পর প্রজাস্বত্ব বিধিমালার 28 বিধি মোতাবেক বুঝারত কালে তৈরিকৃত রেকর্ড রাজস্ব অফিসারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন অফিসার মৌজা এলাকায় বা এর নিকটস্থ স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে সত্যায়িত করেন। এ অফিসারকে অ্যাটেস্টেশন অফিসার বা তসদিক হাকিম বলা হয়। তাঁকে সহায়তা করার জন্য পেশকার বা বদর আমিন নিয়োগ করা হয়।

বুঝারতের সময় কানুনগো কর্তৃক বিলিকৃত পর্চায় প্রজা বা তহসিলদারের কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ নোটিশে উদ্ধৃত তারিখে ও স্থানে প্রজার নাম ডাকলে প্রমাণাদিসহ পর্চা তসদিক হাকিমের নিকট পেশ করতে হয়। তিনি খতিয়ানের তথ্যাদি যাচাই করে প্রয়োজনে পর্চা সংশোধন করে পর্চা ও খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করবেন। তিনি কানুনগো কর্তৃক খতিয়ানে উদ্ধৃত খাজনার কলাম পরীক্ষা করে নিজে খাজনার পরিমাণ লিখবেন এবং স্বাক্ষর করবেন। এ সময় প্রজাসাধারণ খানাপুরি ও বুঝারত কালের কোনো বিচারের রায়ের বিপরীতে তসদিক হাকিমের নিকট আপিল করলে তিনি তা ধৈর্যসহকারে শুনে মীমাংসা করে দেবেন।

এক্ষেত্রে হাকিম পূর্ববর্তী রেকর্ড, দলিলপত্র ও মালিকানার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে রেকর্ড সত্যায়িত করে স্বাক্ষর করবেন। তসদিক হাকিম যখন কোনো খতিয়ান সংশোধন বা পরিবর্তন করেন সাথে সাথে মুহুরি বা পেশকার প্রজা পর্চাতেও অনুরূপ সংশোধন ও পরিবর্তন করে নেবেন। প্রত্যেকটি খতিয়ানে তসদিক হাকিম সই ও সিল দেবেন, কিন্তু প্রজার পর্চাতে শুধুমাত্র সিল দেয়া হবে। এই সময় হতে রেকর্ডের আইনানুগ ভিত্তিও রচিত হয়। তসদিকের পর রেকর্ডসমূহের বিশুদ্ধতা (যাঁচ) প্রথম বারই যাচাই করে নেয়া হয় ।

 

খসড়া প্রকাশনা ও আপত্তি কেস দাখিল :

প্রজাস্বত্ব বিধিমালার 28 বিধি মোতাবেক তসদিক সমাপ্তির পর 29 বিধি মোতাবেক 30 কর্মদিবসের জন্য রেকর্ড সর্বসাধারণ ও ভূমি মালিকদের প্রদর্শনের জন্য খোলা রাখা হয়। এ সময় ভূমির মালিকগণ রেকর্ড দেখে ভুলভ্রান্তি থাকলে নির্ধারিত ফি দিয়ে আপত্তি কেস করতে পারেন। কেস দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে কেস রেজিস্টারভুক্ত করে কেস নম্বর দিয়ে কেসের বাদীকে রসিদ দিতে হয়। বাদীর দায়িত্ব হলো কেস দাখিল করে রসিদ গ্রহণ করা। প্রজাস্বত্বের 29 বিধির অধীন 30 কর্মদিবসে রেকর্ড প্রদর্শনের প্রক্রিয়াকে খসড়া প্রকাশনা বলা হয়।

 

আপত্তি কেস শুনানি :

খসড়া প্রকাশনার পর সংশ্লিষ্ট মৌজার দাখিল করা আপত্তি কেসগুলো নিষ্পত্তির জন্য সেটেলমেন্ট অফিসার 40 বিধিমতে নিজের কোর্টে বা অধস্তন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের কোর্টে শুনানির ব্যবস্থা করে 30 বিধির আপত্তি কেসগুলো নিষ্পত্তি করবেন। কোর্ট উভয়পক্ষের বক্তব্য নোট ও বিশ্লেষণ করে রায় দিবেন এবং এ রায় রেকর্ডে বাস্তবায়ন করবেন।

 

জাবেদা নকল প্রদান :

কোনো পক্ষ নিয়মানুযায়ী আপত্তি কেসের রায় এবং নকলের আবেদন করলে আবেদনকারীকে দ্রুত সার্টিফাইড কপি (জাবেদা নকল) প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ 30 দিনের মধ্যে আপিল কেস দায়ের করতে পারে।

 

আপিল কেস শুনানি :

30 বিধির আপত্তি কেসের রায়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ 31 বিধি মোতাবেক আপিল কেস দায়ের করলে সেটেলমেন্ট অফিসার শুনানি দিয়ে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে 40 বিধি মোতাবেক তিনি আপিল কেস ও শুনানির দায়িত্ব সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে দিতে পারেন। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (আপিল অফিসার) প্রোগ্রাম করে সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়কে 31 বিধির আপিল শুনানির নোটিশ এবং শুনানি দিয়ে আপিল কেস নিষ্পত্তি করবেন। আপিল সমাপ্তির পর দ্বিতীয়বার বিস্তারিতভাবে রেকর্ড পরীক্ষা করে খতিয়ান নকশা ও খসড়ার চূড়ান্ত বিশুদ্ধতা যাচাই (চূড়ান্ত যাচ) করা হয়।

 

চূড়ান্ত বিশুদ্ধতা যাচাই :

সংশ্লিষ্ট মৌজার আপিল কেসের শুনানি ও রায় সমাপ্ত হলে প্রজাস্বত্ব বিধিমালার 32 বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মচারী দ্বারা রেকর্ডের বিশুদ্ধতা চূড়ান্তভাবে যাচাই করে মুদ্রণের জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং সেটেলমেন্ট প্রেসে মুদ্রণের ব্যবস্থা করা হয়।

 

চূড়ান্ত প্রকাশনা :

সেটেলমেন্ট প্রেস হতে প্রাপ্ত মুদ্রিত রেকর্ডসমূহ 33 বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত প্রকাশনার জন্য সেটেলমেন্ট অফিসার ব্যবস্থা করেন। রেকর্ডসমূহ ভূমি মালিক/প্রজা সাধারণের প্রদর্শনের জন্য 30 কর্ম দিবস খোলা রাখা হয়। এ সময় নির্ধারিত মূল্যে খতিয়ান/নকশা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয় । বর্তমানে প্রতি কপি খতিয়ান ও নকশার শিটের মূল্য যথাক্রমে আট টাকা ও পঞ্চাশ টাকা।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version