ত্রিবিন্দু সমস্যার যান্ত্রিক সমাধানে ভূমিতে যন্ত্রের অবস্থান নকশায় চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” এর “প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা” পাঠ এর অংশ।
ত্রিবিন্দু সমস্যার যান্ত্রিক সমাধানে ভূমিতে যন্ত্রের অবস্থান নকশায় চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া
ধরে নিই মাঠে যন্ত্রের অবস্থান (T)। এখন টেবিলটিকে চোখের আন্দাজে বা কম্পাসের সাহায্যে গোড়া পত্তন করে নিতে হবে এবং টেবিল আটকে দিতে হবে। এরপর টেবিলের উপরস্থ ড্রয়িং শিট বা নক্শার উপর এক শিট ট্রেসিং কাগজ টান টান করে বিছিয়ে আটকে দিতে হবে এবং এর উপর আন্দাজ করে ভূমির T স্টেশন t বিন্দুতে চিহ্নিত করতে হবে।
এখন। -কে ঘেঁষে এলিডেড রেখে মাঠের বস্তু A, B, C কে নিশানা করে তিনটি রশ্মি টানতে হবে (এ বস্তু তিনটির অবস্থান পূর্বে নকশায় চিহ্নিত করা আছে)। এরপর ট্রেসিং কাগজটি খুলে নিতে হবে এবং টেবিলের উপর স্থাপিত নকশায় অঙ্কিত a, b, c-এর উপর পর্যায়ক্রমে A B. C এর রশ্মি তিনটি একই সাথে মিলানোর জন্য সুবিধাজনকভাবে নড়িয়ে বা সরিয়ে স্থাপন করতে হবে। যে অবস্থানে রশ্মি তিনটি বিন্দুত্রয়ের (a, b, c) উপর একসাথে মিলে যাবে, ঐ সময়ে t এর অবস্থানই মাঠের T-এর অবস্থান।
এখন t বিন্দুতে আলপিনের সাহায্যে ছিদ্র করে নকশায় t অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে এবং ট্রেসিং কাগজ সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর t, a রশ্মির ধার ঘেঁষে এলিডেড স্থাপন করে টেবিলকে ঘুরিয়ে A-কে নিশানা করে টেবিলটি আটকে দিতে হবে। এখন দেখা যাবে যে, tib ও tic এর ধার ঘেঁষে এলিডেড রেখে নিশানা করলে যথাক্রমে B ও C-কে ছেদ করবে।
যদি B ও C-কে ছেদ না করে, তবে বুঝা যাবে প্রক্রিয়াটি নিখুঁতভাবে সম্পাদিত হয় নি। এতে ভ্রান্তি ত্রিভুজ (Error triangle) সৃষ্টি করবে এবং ট্রায়াল অ্যান্ড এরর (trial & error) পদ্ধতিতে এ ভ্রান্তি দূর করতে হবে। এ পদ্ধতিটি লেহ্যমান এর নিয়ম (Lehmann’s rule) নামে পরিচিত ।
আরও দেখুনঃ