নকশার ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া

নকশার ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া – পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” বিষয়ের “নক্শার ক্ষেত্রফল নিরূপণ” বিভাগ এর একটি পাঠ । রোমানরা ভূমি জরিপকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তারা মৌলিক পরিমাপ প্রতিষ্ঠা করেছিল যার অধীনে রোমান সাম্রাজ্য বিভক্ত হয়েছিল, যেমন বিজিত জমির ট্যাক্স রেজিস্টার (300 খ্রি.)।

নকশার ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া

নক্শা হতে ক্ষেত্রফল নিরূপণের জন্য সাধারণত নিম্নোক্ত বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয় :

(ক) ত্রিভুজে বিভক্ত ‘করে (By division into triangles)

(খ) বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত করে (By division into squares)

(গ) সমান্তরাল ফালিতে বিভক্ত করে (By divisioin into trapezoeds)।

নকশার ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া

(ক) ত্রিভুজে বিভক্ত ‘করে ঃ

এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে নকশার ক্ষেত্রকে কতগুলো সমকোণী ত্রিভুজে বিভক্ত করা হয় এবং নকশার স্কেল অনুযায়ী ভূমি ও উচ্চতা সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করে ক্ষেত্রফল নিরূপণ করা হয়। যদি সীমান্ত রেখা আঁকা- বাঁকা হয় তবে ধরা-ছাড়া (Give & take system) পদ্ধতিতে সাম্যতাকরণ সরল রেখা (equalising line) টেনে স্কেলে পরিমাপ করে ক্ষেত্রফল নিরূপণ করা হয়। সর্বশেষে ক্ষেত্রফলগুলোর সমষ্টি করে মূল নকশার ক্ষেত্রফলের সাথে তুলনা করে নিতে হয়। 

 

নকশার ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া

 

(খ) বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত করে ঃ

পদ্ধতিতে ক্ষেত্রফল নিরূপণের জন্য একটি ট্রেসিং কাগজে নকশার স্কেলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফল-বিশিষ্ট সারিবদ্ধ বর্গক্ষেত্র কাঠামো আঁকতে হবে এবং ট্রেসিং কাগজটি নকশার উপর স্থাপন করে যতগুলো পূর্ণ বর্গক্ষেত্র পড়ল তার হিসেব রাখতে হবে এবং কতগুলো ধরা-ছাড়া পন্থায় পূর্ণ বর্গক্ষেত্র হিসাবে গ্রহণ করা যায় তাও আন্দাজ করে নিতে হবে। এরপর উভয়ের সমষ্টিকে স্কেল হতে প্রকৃত ক্ষেত্রফলে রূপান্তর করলে নক্শার ক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল পাওয়া যাবে। 

(গ) সমান্তরাল ফালিতে বিভক্ত করে ঃ

এ পদ্ধতিতে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য ট্রেসিং কাগজে নির্দিষ্ট দূরত্বে কতগুলো সমান্তরাল রেখা টেনে নিতে হয় এবং সমান্তরাল রেখাঙ্কিত ট্রেসিং কাগজটি নকশার উপর স্থাপন করলে পুরো নকশাখানি কতগুলো সমান্তরাল ফালিতে বিভক্ত হবে। এরপর সীমান্ত রেখায় ধরা-ছাড়া (Give & take system) নিয়মে আন্দাজ মতো সমান্তরাল রেখার উপর লম্ব রেখা টানলে কতগুলো আয়তক্ষেত্র পাওয়া যাবে। এগুলো হতে হিসেব করে (নকশার স্কেল অনুযায়ী) পুরো নকশার ক্ষেত্রফল পাওয়া যাবে।

 

সার্ভেয়িং ১ সূচিপত্র
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

বিঃদ্রঃ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশেষ করে প্লেনিমিটারের সাহায্যে নকশা হতে ক্ষেত্রফল নিরূপণ প্রক্রিয়া পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment