শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি

শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” বিষয়ের “শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি” বিভাগের একটি পাঠ।

শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি

 শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি | সার্ভেয়িং ১

 

জরিপ বা ভূমি জরিপ হল স্থলজগতের দ্বি-মাত্রিক বা ত্রি-মাত্রিক বিন্দুর অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার দূরত্ব ও কোণ নির্ধারণের কৌশল, পেশা, শিল্প এবং বিজ্ঞান। একজন ভূমি জরিপকারী পেশাদারকে ভূমি জরিপকারী বলা হয়। এই বিন্দুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকে এবং এগুলি প্রায়শই মালিকানা, অবস্থানের জন্য মানচিত্র এবং সীমানা স্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন নির্মাণের জন্য কাঠামোগত উপাদানগুলির পরিকল্পিত অবস্থান বা ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির পৃষ্ঠের অবস্থান, বা সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অন্যান্য উদ্দেশ্যে। বা নাগরিক আইন, যেমন সম্পত্তি বিক্রয়।

জরিপকারীরা জিওডেসি, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, রিগ্রেশন বিশ্লেষণ, পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল, মেট্রোলজি, প্রোগ্রামিং ভাষা এবং আইনের উপাদানগুলির সাথে কাজ করে। তারা টোটাল স্টেশন, রোবোটিক টোটাল স্টেশন, থিওডোলাইটস, জিএনএসএস রিসিভার, রেট্রোরেফ্লেক্টর, 3ডি স্ক্যানার, লিডার সেন্সর, রেডিও, ইনক্লিনোমিটার, হ্যান্ডহেল্ড ট্যাবলেট, অপটিক্যাল এবং ডিজিটাল লেভেল, সাবসারফেস লোকেটার, ড্রোন, জিআইএস এবং জরিপ সফ্টওয়্যারগুলির মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করে।

নথিভুক্ত ইতিহাসের শুরু থেকেই মানব পরিবেশের উন্নয়নে জরিপ একটি উপাদান। বেশিরভাগ নির্মাণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য এটি প্রয়োজন। এটি পরিবহন, যোগাযোগ, ম্যাপিং এবং জমির মালিকানার আইনি সীমানার সংজ্ঞায়ও ব্যবহৃত হয় এবং এটি অন্যান্য অনেক বৈজ্ঞানিক শাখায় গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

 

নিচের পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলো অনুসরণ করে শিকল জরিপ করা হয় ঃ

১। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ (Reconnaissance surveying) ২। স্টেশন বিন্দু নির্বাচন (Select ion of station points)

৩। স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণ (Marking of station points)

৪। ভিত্তি রেখা নির্বাচন (Selection of baseline)

৫। জরিপ রেখা মাপন ( Measuring the survey line )

৬। নক্শা তৈরিকরণের জন্য বিস্তারিত তথ্যসংগ্রহকরণ (Detail data collection for preparation of map)

৭। জরিপলিপি লিখন (Booking in field book) ৮। পূর্ণাঙ্গ নক্শা তৈরিকরণ (Preparation of map)

৯। নক্‌শাতে কালি দেয়া (Inking the inap)।

এখন উপরোক্ত ধাপগুলো সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। পূর্বে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

 

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

স্টেশন বিন্দু নির্বাচন (Selection of station points) :

স্টেশন বিন্দু বুদ্ধিমত্তার সাথে নির্বাচন করতে হয়। স্টেশন বিন্দু . সঠিকভাবে নির্বাচন করতে না পারলে জরিপ ঠিকমতো করা যায় না, নক্শাও সুন্দর হয় না। স্টেশন বিন্দু চৌহদ্দির ভিতরে নেয়া যায় আবার বাইরেও নেয়া যায়। স্টেশন বিন্দু নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাদি সম্পর্কে পরবর্তী পাঠ্যাংশে আলোচনা করা হবে।

 

স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণ (Marking of station points) :

স্টেশন বিন্দু নির্বাচনের সাথে সাথে এগুলোকে মাঠে চিহ্নিত করতে হয় যেন প্রয়োজনের সময় সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়। নিচে স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হলো। 

১। যদি কাজের ধরন অস্থায়ী হয় এবং একদিনেই জরিপ কাজ শেষ করা যায়, তবে রেঞ্জিং রড বা পোপ (Ranging rod or pole) উল্লম্বভাবে পুঁতে স্টেশন বিন্দু চিহ্নিত করতে হয়। যদি মাটি শক্ত হয় এবং রেঞ্জিং রড বা পোল ভালোভাবে বসানো না যায় তবে পাথরের ঠেস দিয়ে রাখতে হয়।

২। যদি বৃহৎ এলাকায় জরিপ করতে হয় তবে প্রত্যেক স্টেশনে 2 থেকে 4 সেন্টিমিটার মাটির উপরে রেখে কাঠের খুঁটি শক্তভাবে পুঁতে দিতে হয়। স্বাভাবিক মাটিতে 2.5 সেন্টিমিটার বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের 15 সেন্টিমিটার লম্বা কাঠের খুঁটিই উত্তম। আর যদি নরম মাটি হয় তবে 4 সেন্টিমিটার বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের খুঁটি স্টেশনে পুঁতে দিতে হয়।

৩। জরিপ এলাকা যদি চারণ ভূমি হয় তবে স্টেশন বিন্দুতে খুঁটি বসানোর পর ত্রিভুজ বা বৃত্তাকার ঘাসের চাপড়া উঠিয়ে দিতে হয় ৷

৪। যদি উইপোকার আক্রমণে খুঁটি বিনষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে, তবে রেঞ্জিং রড দিয়ে মাটিতে ছিদ্র করে ছিদ্র পথে সিমেন্টের মসলা দিয়ে ভর্তি করে উপরে একটি পেরেক প্রবেশ করিয়ে দিতে হয়।

৫। রাস্তা বা পেভমেন্টের উপর স্টেশন চিহ্নিত করতে হলে 1.25 সেমি বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের 10 সেমি লম্বা ফ্লাশ নেইল (Flush nail) বা স্পাইক প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে বা ‘x’ আকৃতির গর্ত করে দিতে হবে । 

৬। যদি গ্রামে বা শহরে কোনো স্টেশন স্থায়ীভাবে রাখার দরকার পড়ে তবে পিলার বা পাথরের উপর ‘x’ চিহ্ন দিয়ে মাটিতে শক্তভাবে পুঁতে দিতে হবে ।

এক্ষেত্রে স্মারক স্থায়ী কাঠামো (যেমন— পোস্ট, গেইট, ইমারতের প্লিন্থ ইত্যাদি) হতে নকশায় স্টেশন বিন্দু চিহ্নিত করতে সাধারণত স্থায়ী স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণে তিনটি স্মারক হতে দূরত্ব নিয়ে স্থায়ী স্টেশন চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে দুটির সাহায্যে | স্টেশন বিন্দু খুঁজে পাওয়া যায় এবং তৃতীয়টির মাধ্যমে যাচাই করা যায়। নিম্নের চিত্রে স্থায়ী স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি দেখ। নো হয়েছে । 

 

ভিত্তি রেখা নির্বাচন (Selection of baseline) :

 জরিপ এলাকায় আনুকূল্য পাওয়া গেলে একটি বা দু’টি ভিত্তি রেখা টানা সুবিধাজনক। এ রেখা গুলো মোটামুটি জরিপ এলাকার মধ্য দিয়ে এবং অপেক্ষাকৃত সমতল ভূমির উপর দিয়ে টানলে ভালো হয়। দু’টি ভিত্তি রেখা টানা সম্ভব হলে ইংরেজি ‘X’ অক্ষরের ন্যায় টানাই উত্তম। ভিত্তি রেখা সতর্কতার সাথে মেপে নিতে হয় এবং এগুলোর উপরই সুঠা । ত্রিভুজ কাঠামো গঠন করতে হয়। এতে পুঞ্জীভূত ভ্রান্তির পরিমাণ হ্রাস পায়।

 

 শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি | সার্ভেয়িং ১

 

 শিকল ‘জরিপে ভিত্তি রেখা নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়সমূহ ঃ

১। পরিবেশের আনুকূল্যে শিকল জরিপে দৈর্ঘ্য বরাবর সর্বাধিক দীর্ঘ রেখাটিই ভিত্তি রেখা হওয়া উচিত কেননা এর উপর পুরো জরিপতব্য এলাকায় প্রধান ত্রিভুজ কাঠামো গঠিত হবে ।

২। ভিত্তি রেখা বাধা প্রতিবন্ধকতামুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

৩ । ভিত্তি রেখা সমতল বা মোটামুটি সমতল ভূমিতে নির্বাচন করতে 

৪ । ভিত্তি রেখা সুঠাম ত্রিভুজ কাঠামো তৈরিতে সহায়ক হবে।

৫। ভিত্তি রেখার প্রান্তীয় স্টেশনদ্বয় পরস্পর পরিদৃশ্য হবে ।

৬। সম্ভব হলে এবং পরিবেশের আনুকূল্যে থাকা আড়াআড়ি দুটি ভিত্তি রেখা নির্বাচন করলে জরিপ করা সহজ হবে।

 

‘জরিপ রেখা মাপন, নক্শা তৈরিকরণের জন্যে বিস্তারিত তথ্যাদি সংগ্রহকরণ ও জরিপলিপি লিখন :

উক্ত তিনটি কাজ একযোগে চলতে থাকে । এ কাজ তিনটি সম্পাদনের জন্য 5 জন লোকের দরকার হয়। এদের মধ্যে 2 জন জরিপ রেখা মাপনে, 2 জন অফসেট নেয়ার কাজে ও 1 জন জরিপলিপি লিখনে নিয়োজিত থাকে। প্রধান স্টেশনে রেঞ্জিং রড ও অন্যান্য গ্রন্থি স্টেশনে খুঁটি পোঁতার পর জরিপ রেখা মাপার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদ্বয়ের মধ্যে অনুগামী (follower) স্টেশনের উপর পায়ের গোড়ালি দিয়ে শিকলের হাতল চেপে ধরবে এবং অগ্রগামী (Leader এক হাতে 10টি তীর, অন্য হাতে শিকলের হাতল ও রেঞ্জিং রড ধরে শিকল রেখা বরাবর শিকল রেখার বাহির দিয়ে শিকল টানতে টানতে অগ্রসর হবে।

শিকল দৈর্ঘ্য পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে অগ্রগামী শিকল রেখার একপাশে দাঁড়িয়ে পঙক্তিভুক্তকরণের জন্যে অনুগামীর দিকে তাকাবে এবং হাতের রেঞ্জিং রডটি উল্লম্ব করে ধরবে। এ সময় অনুগামীর সামনের স্টেশনে পোঁতা রেঞ্জিং রড, অগ্রসারকের উল্লম্বভাবে ধরা রেঞ্জিং রড ও নিজকে একই সরল রেখায় দেখে পঙক্তিকরণের কাজ করবে। যদি অগ্রগামীর রেঞ্জিং রডটি একই সরল রেখায় না থাকে তবে ইশারার মাধ্যমে অগ্রগামীকে নির্দেশ দিয়ে ডান বা বামে সরিয়ে একই সরল রেখায় আনবে। এরপর ‘অনুগামী সামনের দিকে একটু ঝুঁকে পড়ে অগ্রগামীর রডের গোড়া, সামনের স্টেশনের রডের গোড়া ও সে একই সরল রেখায় আছে কি না দেখে নেবে।

অনুগামীর সম্মতিসূচক ইঙ্গিত পেলে অগ্রগামী তার রেঞ্জিং রডের গোড়ায় মাটিতে দাগ কেটে বা গর্ত করে চিহ্নিত করবে এবং রেখা বরাবর দাড়িয়ে শিকলকে দু’হাতে ধরে স্বাভাবিক টানে সোজা করে হাতলের গ্রুভে তীর পুঁতবে (যদি শিকলের প্রান্ত শক্ত মাটি, পাকা রাস্তা বা পেভমেন্টের উপর পড়ে তবে ‘x’ দাগ কেটে চিহ্নিত করবে) । শিকলকে এ অবস্থানে রেখে কাছাকাছি বস্তুগুলোর অফসেট নেয়ার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদ্বয়ের একজন বস্তুর উপরে বা ধার ঘেঁষে রেঞ্জিং রড পুঁতবে এবং অন্যজন অপটিক্যাল স্কয়ার এর সাহায্যে শিকলের উপর বস্তুর লম্ব পাদমূল নির্ণয় করবে এবং উভয়ে শিকল বা টেপের সাহায্যে অফসেট নেবে এবং অফসেটের (offset) পরিমাপ জরিপ লিপিকারকে জানিয়ে দিবে।

জরিপ লিপিকার জরিপ রেখার সামনের দিকে তাকিয়ে ডানের বস্তু ডানে এবং বামের বস্তু বামে দূরত্বসহ বস্তুর চিত্র বা আলামত আঁকবে। জরিপ লিপিকার প্রত্যেকটি বস্তুর ক্ষেত্রেই প্রারম্ভ বিন্দু হতে লম্ব পাদমূল পর্যন্ত দূরত্ব ও অফসেট লিপিবদ্ধ করবে। অফসেট / ডেসিমিটারের কম হলে তা বাদ পড়বে এবং 2 ডেসিমিটারের অধিক হলে পূর্ণ ডেসিমিটার ধরতে হবে। সব তথ্যাদি নেয়ার পর জরিপ/লিপিতে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর প্রথম শিকলের কাজ সমাপ্ত হবে।

এরপর অগ্রগামী এক হাতে বাকি নয়টি তীর এবং অন্য হাতে রেঞ্জিং রড ও শিকলের হাতল ধরে শিকল রেখার একটু বাইরে দিয়ে (যেন পোতা তীরটিতে শিকল না লাগে) শিকল টানতে টানতে সামনের দিকে অগ্রসর হবে। অনুগামী ও শিকলের হাতল ধরে সামনে দিকে আসতে থাকবে এবং সামনে পোঁতা তীরের নিকটবর্তী হলে ‘শিকল’ বলে উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে অগ্রগামীকে অগ্রসর হতে বারণ করবে। এরপর অনুগামী শিকলের হাতলের গ্রুভ অগ্রগামীর পুঁতা তীরের সাথে মিলিয়ে ধরবে এবং অগ্রগামীর হাতের রেঞ্জিং রড ও সামনের স্টেশনে পোঁতা রেঞ্জিং রডের সাথে পূর্বের মতো মিলিয়ে পংক্তিকরণের কাজ শেষ করবে।

অগ্রগামী পূর্বের ন্যায় শিকলটি টান টান করে শিকলের হাতলের গ্রুডে তীর বসাবে। শিকল এ অবস্থায় রেখে অফসেট নেয়ার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদ্বয় পূর্বের মতো অফসেট নেয়ার কার্যাদি সম্পন্ন করবে এবং জরিপ লিপিকারও পূর্বের ন্যায় সব তথ্যাদি জরিপলিপিতে লিপিবদ্ধ করবে।

এভাবে জরিপ কার্য সামনের দিকে অগ্রসর হবে। জরিপ রেখার দৈর্ঘ্য 10 শিকলের অধিক হলে দশ শিকল মাপার পর অনুগামীর হাতে 10টি তীর থাকবে এবং তা অগ্রগামীর হাতে দিয়ে দিতে হবে। স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, যে-কোনো অফসেটের লম্ব মূলের দূরত্ব জরিপ রেখার প্রারম্ভ বিন্দু হতে ধরতে হয়। এক জরিপ রেখার কাজ শেষে ধারাবাহিকভাবে অন্য জরিপ রেখার কাজ করতে হয়। অগ্রগামী ও অনুগামীর হাতের তীরের সংখ্যার সমষ্টি সর্বদাই 10টি হবে (প্রতি শিকল কাজের শেষে)।

 

প্রধান প্রধান ত্রিভুজগুলোর রেখা চিত্র অঙ্কন :

মাঠের কাজ সমাধা হয়ে গেলে জরিপলিপি হতে প্রধান প্রধান ত্রিভুজগুলোর রেখা চিত্র মানানসই স্কেলে আঁকতে হবে এবং গ্রন্থি রেখাগুলো অঙ্কন করে ত্রিভুজগুলোর বিশুদ্ধতা যাচাই করে নিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরিকরণ ঃ গ্রন্থি রেখাগুলোর মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর অশুদ্ধ প্রমাণিত হলে পুনরায় সরজমিনে পরিমাপ নিয়ে নক্শাটি শুদ্ধ করে নিতে হবে। আর শুদ্ধ প্রমাণিত হলে অন্যান্য তথ্যাদি যথার্থ আলামত সহকারে বিস্তারিতভাবে অঙ্কন করে পূর্ণাঙ্গ নক্‌শা বা মানচিত্র তৈরি করতে হবে। নকশায় স্কেলের উল্লেখ করতে হবে এবং নক্শা বা মানচিত্রের এক কোনায় স্কেল এঁকে দিতে হবে। নকশায় উত্তর রেখা দিতে হবে। এর জন্য মাঠে কোন একটি রেখার বিয়ারিং পূর্বেই নিয়ে রাখা উচিত ।

নক্‌শাতে কালি দেয়া ঃ সব ধরনের নক্‌শাই প্রথমে পেন্সিলে করতে হয়। এরপর কালি দিতে হয়। কালি দেয়ার সময় পেন্সিলের রেখাগুলো হুবহু অনুসরণ করতে হয়। লাইনগুলো বেশি সরু বা বেশি পুরু করা অনুচিত। চৌহদ্দি রেখা অন্যান্য রেখা হতে পুরু হবে। বিভিন্ন রেখা অঙ্কনে রেখা সম্পর্কীয় সঙ্কেত অনুসরণীয়।

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment