আজকে আমরা 3D অবজেক্ট রেন্ডারিং (Rendering) করা আলোচনা করবো। যা আর্কিটেকচার ড্রাফট উইথ ক্যাড – ২ এর দ্বিতীয় পত্র অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
3D অবজেক্ট রেন্ডারিং (Rendering) করা
কোনো অবজেক্ট অংকনের পর তা কি দিয়ে তৈরি, বাজবে দেখতে কেমন হবে, কিংবা সামনে পিছনে কিছুই বোঝা যায় না। শুধু বছর একটি খাঁচা তৈরি হয় মাত্র। এক বাজল, জী, ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য রেন্ডারিং করা হয়। রেন্ডারিং হচ্ছে বাস্ত্সবম্মত ভাবে উপস্থাপনের বা প্রেজেন্টেশনের একটি মাধ্যম। কাজেই বিভিকে বা যে কোনো 3D নন্দন করে উপস্থাপনের বা ফেইক্রোস্টেশনের জন্য রেন্ডারিং আবশ্যক।
রেন্ডারিং করার জন্য চিত্রের (চিত্র-৭০) টুলবারটি ব্যবহার করা হয়। একে Hide Reader, Scene, Light, Materials, Materials Library, Background, Fog Landscape, Landscape Library aapa বিচ্ছিন্ন। যা কে করতে সাহায্য করে।
Render টুলবারটির বিভিন্ন অপশন ও কাজ নিম্নরূপ-
টুলসের নাম | কাজ |
Hide | কমান্ড টি পিছনের বা দ্বিডেল লাইন সমূহ কে সরিয়ে রাখে |
Render | কমান্ড টি কোন অবজেক্ট এর উপর বিভিন্ন আলো ফেলে দৃশ্য টিকে আর বাস্তবসম্মত করে। |
Scana | টি কোনো অবজেক্ট এর মধ্যে অবজেক দৃশ্য Assign করে |
Light | টি কোন অবজেক্ট এর উপর বিভিন্ন আলো ফেলে দৃশ্য টিকে আর বাস্তবসম্মত করে। |
Material | ৰাস্তবিক অবজেক্টটি যে উপাদানে তৈরি তা ফুটিয়ে তোলে |
Materials Library | থেকে বিচ্ছিন্ন Materials সমূহ Import করা যায়। |
Background | অবজেক্ট এর পিছনে কোনো পটভূমি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। |
Fog | কুয়াশাচ্ছন্ন ছবি যেমন দেখায় তেমন দৃষ্ট পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় |
Landscape | ল্যান্ডস্কেপিং এর যাবতীয় সামগ্রী (গাছ, রোগ, লাইট, মানুষ ইত্যাদি) 3D সংযুক্ত করা যায়। |
Landscape Library | কমান্ড সমূহ থেকে বিভিন্ন Landscaping Materials Import করা যায় |
Landa cape Edit | কমান্ড সমূহ ল্যান্ডস্কেপিং এর যাবতীয় সামগ্রী এডিট করা যায়। |
Render Proformance | ব্যবহার করে রেন্ডারিং এর বিভিন্ন অপশন প্রয়োগ করা যায়। এখানে সোল্ডারিং টাইস, ডেস্টিনেস সেট করা যায় |
Statistics | কমান্ড প্রয়োগ করে কোনো রেডারিং এর তথ্য পাওয়া যায়। |
3D Material Asign) করার প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি বরই কোনো না কোনো উপানের বর। কিন্তু এসব বোঝানো সম্ভব নয়। ভাবে উল্লেখ করা থাকলেও ভারে বাধিক চেহারা বোঝা । এ সমস্যা সমাধানের জন্য অটোক্যাডের 3D ক্ষেত্রে রেফারিং-এর ম্যাটেরিয়ান অ্যাসাইন (Materials Assign) একটি অপশন আছে । কোন 3D করার পর Materials এর তৈরি করা হবে সেই (Materials Amigo) বা চিহ্নিত করে দিনে রেভারিং করার পর অজেলাটি বাজাৰে Materials করি বলে যেমন দেখা যায় তেমন দেখা যাবে।
3D কি ম্যাটেরিয়ালস অ্যাসাইন (Materials Assign) করার প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ
- Materials Assign করার ৰাজৰ উপাদান বা ফ্যাটেরিয়ালস বোঝা যায়।
- য়েন্ট কে বা যে কোনো লোককে বোঝাতে সহজ হয়।
- যে কোনো রিং বোঝার জন্য টেকনিক্যাল বা কারিগরির প্রয়োজন হয় ।
- তৈরির পূর্বের 3D করা এবং একে Menerials Assign করা হয় বলে ডিজাইনের বাণিজ্যিক প্রচারে সুবিধা পাওয়া যায়।
- কোন Materials টি দিলে বেশি ভালো লাগবে যার যার পরিবর্তন করে দেখা যায় এবং এতে সাশ্রয়ী Materials কোনটি হবে তার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।
3D ভিউতে ক্যামেরা (Camera) ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা
সাধারণ ক্যামেরার কাজ হচ্ছে ছবি তোলা। অটোক্যাডেও ক্যামেরার কাজ একই ছবি তোলা, তবে একটু অন্য ভাবে। এক্ষেত্রে ক্যামেরা কোনো অবস্থানে নিয়ে ছবি তুললে ছবিটি কিরূপ দেখাবে তা স্ক্রিনে দেখা যায়। ক্যামেরার অবস্থান বার বার পরিবর্তন করে সঠিক দৃশ্যটি বা পছন্দনীয় ভিউটি পাওয়া যায় ।
কোনো 3D অবজেক্ট অঙ্কন করার পর তা দেখার জন্য আইসোমেট্রিক দৃশ্যের মাধ্যমে তা দেখা যায়।
যা বাস্তবসম্মত নয় এবং কোনো বিশেষ অংশকে আলাদা করে দেখা বা ভিউ তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন ক্যামেরার যাতে যেই অংশের দরকার শুধু সেই অংশের কিংবা সম্পূর্ণ বাস্তবিক ছবি বা ইমেজ তৈরি করা যায় । ক্যামেরা আনার জন্য কমান্ড বারে Camera লিখে এন্টার করতে হবে। এবার অক্ষের সাপেক্ষ ক্যামেরার অবস্থান কোথায় হবে তা ঠিক করে দিতে হবে। এতে ক্যামেরাতে কেমন দেখাবে তা স্ক্রিনে দৃশ্যমান হবে।
3D ভিউতে লাইট (Light)ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা
আলোর উপস্থিতিতেই আমরা কেবলমাত্র দেখতে পারি। স্ক্রিনে যা কিছু দেখা যায় আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই তা দৃশ্যমান হয়। অবজেক্ট দেখার জন্য তাই আলো অপরিহার্য। কিন্তু ইমেজ পরিস্ফুটনের জন্য শুধু সাধারণ আলো থাকলেই হয় না। তাকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অংশের উপর ফোকাস করতে হয়। এতে ইমেজটি আরও বাস্তবিক ভাবে ফুটে উঠে। কাজেই রেভারকরা কোনো অবজেক্ট-এর বিভিন্ন অংশে আলো ফেলে ইমেজের ৰাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতেই লাইট (Light) ব্যবহৃত হয়। ইমেজের কোনো অংশে লাইটের পরিমান কম বেশি করে ইমেজকে অনেক মোহনীয় করে তোলা যায়।
লাইট ডায়লগ বন্ধে মোট চার রকমের লাইট অপশন আছে। যেমন-
Ambient:
এই ক্ষরণের লাইট অজেটের প্রতিটি সারফেসে সমভাবে আলোকিত করে বা উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর কোনো নির্দিষ্ট বা দিক নেই। এতে শুধু তীব্ৰতা ৰাভাবনা বা কমানো যায়। আলোর রঙ পরিবর্তন করা যায়।
Paint:
পয়েন্ট লাইট মোমবাতির মত এর অবস্থানের চারদিকে আলো ছড়ায়। সাধারণ লাইটিং ইফেক্ট হিসাবে পয়েন্ট লাইট ব্যবহার করা হয়।
Dirtant:
ডিসটেন্ট লাইট কেবলমাত্র একদিকে আলো তার। আলোক রশ্মিসমূহ একদিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়
Spot:
স্পট লাইট ডিরেকশনাল কোণের আকারে আলো ছড়ায়। এতে আলোর দিক ও কোণের মান বা আকার সেট করা বা পরিবর্তন করা যায়।
উল্লেখ্য যে, যে কোনো ধরনের লাইট ব্যবহার করা হোক না কেন লাইটের পরিশন প্রয়োজনে পরিবর্তন করা ৰা নল মুছে ফেলা যায়।
3D ভিউ ব্যাকগ্রাউন্ড (Background) ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা
যে কোনো স্থাপত্যিক কাঠামো বন- বাড়ি, অঙ্ক िा অন্য म, সলেন্ট ইত্যাদি যে কোনে যারা এ অবস্থা করে না। পারিপার্শ্বিক অবস্থানের ভিডিতে কাঠামোটি কেমন সেখানে ত্রি মাত্রিক ইমেজে সেটিও অন্যতম । 3D টা সংযুক্ত করা হয়। এতে মি রোদেলা পাকা বা প্রাণি বা প অনুযায়ী যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করা যায়। ফলে ইমেজটি সম্পূর্ণ বাস্তব দেখার। ব্যাকগ্রাউন্ড এ ক্লিক করতে হবে। এতে ব্যাকগ্রাউন্ড ডায়ালগ বক্স আসবে ।
ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করার চারটি অপশন আছে। যেমন—
Solid:
সলিড অপশনটিতে পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে শুধু যে কোনো একটি রং দেখা যায়। ছোট কোনো অবজেক্ট এর ইমেজ তৈরিতে বেশি প্রযোজ্য।
Gradient:
গ্রেডিয়েন্ট এ পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে শুধু যে কোনো রঙের শেড দেখা যায়। এটিও ছোট কোনো অবজেক্ট এর ইমেজ তৈরিতে বেশি প্রযোজ্য।
Image:
ইমেজ যে কোনো ধরনের ছবি বা আকাশ বা অন্য কোন ফটো বা ইমেজ কে পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে দেয়া যায়। যে কোনো ধরনের কাঠামোর 3D ভিউতে প্রয়োগে করা যায়। এমনকি যে এলাকায় কাঠামোটি নির্মিত হবে তার ছবি তুলে এনেও ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে সেট করা যায়।
Merge:
মার্জ অপশনটি 3D ভিউটি কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডে মিলিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
3D ভিউ JPEG তে রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তা
3D ভিউটি অঙ্কনের পর তা সেভ (Save) ও প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয়। 3D ভিউ অঙ্কনের ফলে ফাইল অনেক ভারী হয় যা রেন্ডারিং করতে অনেক সময় লাগে। আর রেন্ডার করা ভিউটি স্ক্রিন বা ড্রয়িং এরিয়া নাড়ালেই কিংবা অন্য কিছু করলেই ওয়্যারফ্রেমে চলে আসে। কাজেই বার বার রেন্ডার করে ভিউটি দেখা সময় সাপেক্ষ ও বিরক্তিকর। এ কারণে ভিউটিকে একটি ইমেজ ফরমেটে সেভ করা বা সংরক্ষণ করা হয়।
ইমেজ ফাইল সংরক্ষণের জন্য Raster Format ও Vector Format এই দুই ফরমেট ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে JPEG এক ধরনের রাস্টার ফরমেট। JPEG এর পূর্ণ নাম Joint Photographic Experts Group এটি প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল ক্যামেরা এবং সফটওয়্যার এ কাজ করে ফলে এতে কাজ করা অনেক সুবিধাজনক । এছাড়া JPEG তে ফাইল সেভ করলে ফাইল অনেক ছোট হয় যে কোনো সময় দেখা যায় এবংnপ্রিন্ট করা যায়।
- অটোক্যাড এর 3D ভিউ প্রিন্ট করলে শুধু ওয়্যারফ্রেম প্রিন্ট হয়। ইমেজ প্রিন্ট করার জন্য 3D ভিউটি
JPEG তে রুপান্তর করতে হয়। - যে কোনো সময় যে কোনো কম্পিউটারে দেখা যায়।
- প্রায় সবধরনের ডিজিটাল ক্যামেরাতে ছবিটি নেয়া যায় ।
- JPEG তে রূপান্তর করে আবার এভাবে ফটোশপে (Adobe Photoshop) নিয়ে এডিট করা যায়, ল্যান্ডস্কেপ ও ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়া যায়, ফলে রেন্ডারিং এ সময় কম লাগে ।
- JPEG তে রুপান্তর করা ফাইল কোরেল ড্র (Corel Draw) তে নিয়েও কাজ করা যায়, যা যে কোনো ধরনের প্রেজন্টেশনের জন্য সুবিধাজনক ।
প্রশ্নমালা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. রেন্ডারিং কেন করা হয়?
২. রেন্ডার টুলবারের চারটি অপশনের নাম লেখ।
৩. অটোক্যাড-এর রেন্ডারি-এ লাইট কত প্রকার ও কি কি?
৪. অটোক্যাড-এর রেন্ডারিং-এ ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করার অপশন কয়টি ও কি কি?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. রেন্ডার টুলবারের বিভিন্ন অপশনের নাম লেখ ।
২. অটোক্যাড-এর থ্রিডিতে ম্যাটেরিয়ালস অ্যাসাইন কাকে বলে?
৩. অটোক্যাড-এর থ্রিডিতে ক্যামেরা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর ।
৪. অটোক্যাড-এর থ্রিডি ভিউ JPEG তে কেন রূপান্তর করা হয় ।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. রেন্ডার টুলবারের বিভিন্ন অপশনের কাজ বর্ণনা কর ।
২. অটোক্যাড-এর থ্রিডিতে ম্যাটেরিয়ালস এ্যাসাইন করার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
৩. অটোক্যাড-এর থ্রিডিতে লাইট এর বিভিন্ন অপশনের কাজ বিস্তারিত বর্ণনা কর ।
৪. অটোক্যাড-এর থ্রিডিতে ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করার বিভিন্ন অপশনের কাজ বিস্তারিত বর্ণনা কর ।
৫. অটোক্যাড-এর থ্রিডি ভিউ JPEG তে রুপান্তর করার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর ।
আরও দেখুনঃ