প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” বিষয়ের “শিকল জরিপের কার্যপ্রণালি” বিভাগের একটি পাঠ।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ
জরিপতব্য এলাকায় প্রাথা মক পরিদর্শনই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ। সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে জরিপকার্য সম্পাদনের জন্য জরিপকরকে অবশ্যই জরিপ ‘এলাকা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত হতে হবে। তাই প্রথমেই জরিপ এলাকা ঘুরেফিরে খুব ভালোভাবে দেখতে হবে।
এ সময় জরিপ’ এলাকার কোথায় কোথায় দালানকোঠা, রাস্তা, পুকুর, খাল, নদী, বন-জঙ্গল ইত্যাদি আছে তা সরজমিনে দেখে নিতে হবে এবং বাধাবিপত্তির অবস্থানও জেনে নিতে হবে। এ সময় জরিপকর জরিপ রেখা, স্টেশন বিন্দু নির্বাচন, ত্রিভুজায়ন ইত্যাদি মোটামুটি চোখের আন্দাজে ঠিক করে নিবে। এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রধান প্রধান স্টেশনগুলো কোথায় হলে সুবিধাজনক হবে, কম বাধাবিপত্তি। সম্মুখীন হতে হবে, জরিপকালে কী কী অসুবিধা হতে পারে, এতে কী পরিমাণ খরচ পড়বে, এর রিমাণ খরচ পড়বে, এর জন্য কী পরিমাণ সময় লাগবে, ইত্যাদির উপর সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
এ জরিপের মাধ্যমে জরিপ ‘এলাকার চৌহদ্দি যথোপযুক্ত প্রতীক সহকারে দালানকোঠা, রাস্তা, নদ-নদী, পুল ইত্যাদির সুশোভন অবস্থান দেখিয়ে মোটামুটিভাবে একটা হাত ম্যাপ তৈরি করতে হবে। এতে তীর চিহ্ন দিয়ে জরিপের গতি দিক নির্দেশ করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমিক অক্ষরে স্টেশনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এ কাজে কিছুটা সময় ও অর্থ ব্যয় হলেও পরে এটা হতে সবক্ষেত্রেই লাভবান হওয়া যাবে। মূলত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপের উপর ভিত্তি করেই জরিপের পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলো সম্পাদন করতে হবে বিধায় এ জরিপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা অপরিহার্য।

জরিপ বা ভূমি জরিপ হল স্থলজগতের দ্বি-মাত্রিক বা ত্রি-মাত্রিক বিন্দুর অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার দূরত্ব ও কোণ নির্ধারণের কৌশল, পেশা, শিল্প এবং বিজ্ঞান। একজন ভূমি জরিপকারী পেশাদারকে ভূমি জরিপকারী বলা হয়। এই বিন্দুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকে এবং এগুলি প্রায়শই মালিকানা, অবস্থানের জন্য মানচিত্র এবং সীমানা স্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন নির্মাণের জন্য কাঠামোগত উপাদানগুলির পরিকল্পিত অবস্থান বা ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির পৃষ্ঠের অবস্থান, বা সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অন্যান্য উদ্দেশ্যে। বা নাগরিক আইন, যেমন সম্পত্তি বিক্রয়।
আরও দেখুন: