এবনি লেভেলের সাহায্যে উন্নতি ও অবনতি কোণ পরিমাপকরণ প্রক্রিয়া – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” এর “ছোটখাটো যন্ত্রপাতি” পাঠ এর অংশ।
এবনি লেভেলের সাহায্যে উন্নতি ও অবনতি কোণ পরিমাপকরণ প্রক্রিয়া
এবনি লেভেল বহুল ব্যবহৃত এক ধরনের ক্লিনোমিটার। এটা হালকা তবে বেশ মজবুত। সূক্ষ্ম কাজের জন্য এটা তেমন ব্যবহৃত হয় না তবে খসড়া কাজের জন্য বেশ উপযোগী। এটা একটা হাত যন্ত্র । সাধারণত রাস্তার ঢালের উন্নতি বা অবনতি কোণ পরিমাপে, গ্রেড কন্টুর এবং ভূমির ঢাল নির্ধারণে এ যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয়।
নিচে এবনি লেভেলের সাহায্যে উন্নতি ও অবনতি কোণ (উল্লম্ব কোণ) মাপার পদ্ধতি দেয়া হলো :
১। প্রথমে যন্ত্রটিকে ঢালের এক প্রান্তে চক্ষু উচ্চতায় ধরে দুরবিনের ভিতর দিয়ে তাকিয়ে ঢালের অপর প্রান্তে উল্লম্বভাবে পোঁতা চক্ষু উচ্চতায় চিহ্নিত দাগকে দুরবিনের ‘ক্রস হেয়ারে’ ছেদ করাতে হবে।
২। যেহেতু দৃষ্টিরেখা ঢালু (উপরে দিকে বা নিচের দিকে)। তাই বাবল তার দৌড়ের কেন্দ্রে থাকবে না বিধায় মিলড স্কু’ (Milled screw) ঘুরায়ে বাবলকে তার দৌড়ের কেন্দ্রে আনতে হবে।

৩। যখন দৃষ্টিরেখা দুরবিনের ক্রস হেয়ারে অপর প্রান্তের চক্ষু উচ্চতার দাগকে ছেদ করবে এবং বাবল তার দৌড়ের কেন্দ্রে থাকবে তখন এ অবস্থায় ভার্নিয়ারের মাধ্যমে কোণের পাঠ গ্রহণ করতে হবে। এ কোণের পরিমাণই হবে (যদি বস্তু নিচে থাকে তবে অবনতি কোণ আর যদি উপরে থাকে তবে উন্নতি কোণ) উল্লম্ব কোণ । উন্নতি কোণ পরিমাপের চিত্র দেখানো হলো। (চিত্র ঃ ১৩.২ এবনি লেভেলের অনুভূমিক অবস্থান এবং চিত্র ঃ ১৩.৩ উন্নতি কোনো পরিমাপ)
ক্লিনোমিটার (Clinometer) ঃ চিত্রে একটি সাধারণ ক্লিনোমিটার দেখানো হয়েছে। এটি দেখতে অনেকটা জ্যামিতি বক্সের কোণ মান যন্ত্র বা চাঁদার মতো। এটির কেন্দ্রে একটি হালকা ওজনের ওলন ঝুলানো থাকে। এটির দু’প্রান্তে দুটি ভেন (Vane) সংযুক্ত থাকে— একটি আই ভেন (a) এবং অপরটি অবজেক্ট ভেন (b)। দৃষ্টিরেখা (ab) অনুভূমিক অবস্থায় থাকাকালে ওলনের সুতা ভাগচক্রের শূন্য বরাবর ঝুলতে থাকে । ভাগচক্রকে শূন্যের উভয় পার্শ্বে ডিগ্রিতে (10 ডিগ্রি, 20 ডিগ্রি….) দাগকাটা থাকে ।
-ক্লিনোমিটার ঢাল কোণ (উন্নতি কোণ ও অবনতি কোণ) মাপার কাজে ব্যবহার করা যায়। যদিও এর সাহায্যে কোণ নিখুঁতভাবে মাপা যায় না তবে খসড়া কাজে ব্যবহারের জন্য মোটামুটি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় ।
আরও দেখুন: