চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃস্থাপন

চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃস্থাপন – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সার্ভেয়িং ১” এর “প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা” পাঠ এর অংশ।

চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃস্থাপন | প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা | সার্ভেয়িং ১

চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃস্থাপন

নিচে চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে টেবিলের পুনঃগোড়াপত্তন প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলো :

১। চুম্বক শালাকার সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন :

প্রথম স্টেশনে টেবিল সংস্থাপনের পর আয়তাকার কম্পাসের চুম্বক শলাকার সাহায্যে যে উত্তর রেখা টানা হয়েছে, তার সাথে কম্পাস মিলিয়ে রেখে পরবর্তী সব স্টেশনে টেবিল সংস্থাপন করতে হবে যেন চুম্বক শলাকার প্রান্তদ্বয় উত্তর-দক্ষিণে থাকে। স্থানীয় আকর্ষণের জন্য এ পদ্ধতির উপর নির্ভর করা যায় না। তাই প্রথম স্টেশনের পর সব স্টেশনে টেবিলের পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃ স্থাপন পশ্চাদ্দৃশ্যের মাধ্যমেই করা উচিত ।

চুম্বক শলাকার সাহায্যে ও পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে পুনঃগোড়াপত্তন বা পুনঃস্থাপন | প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা | সার্ভেয়িং ১

২। পশ্চাদ্দৃশ্যের সাহায্যে টেবিলের ‘পুনঃগোড়াপত্তন :

প্লেন টেবিল জরিপে পুনঃগোড়াপত্তনের জন্য এটি সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। প্রথম স্টেশনে টেবিল সংস্থাপন করে পরবর্তী যে স্টেশন চিহ্নিত করে রেখা টানা হয়েছে, ঐ স্টেশনে টেবিল বসিয়ে রেখা বরাবর এলিডেড রেখে বোর্ডকে উল্লম্ব অক্ষে ঘুরিয়ে প্রথম স্টেশনকে ছেদ করে টেবিল আটকে (ক্ল্যাম্পিং স্ক্রুর সাহায্যে) দিতে হবে এবং জরিপের অন্যান্য রেখা টানতে হবে এবং পরবর্তী স্টেশনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। অবশ্যই টেবিলের সেন্টারিং এর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।

18 শতকে, জরিপ করার জন্য আধুনিক কৌশল এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা শুরু হয়। জেসি রামসডেন 1787 সালে প্রথম নির্ভুল থিওডোলাইট প্রবর্তন করেন। এটি ছিল অনুভূমিক এবং উল্লম্ব সমতলগুলিতে কোণ পরিমাপের একটি যন্ত্র। তিনি তার নিজের ডিজাইনের একটি সঠিক বিভাজক ইঞ্জিন ব্যবহার করে তার মহান থিওডোলাইট তৈরি করেছিলেন।

 

প্লেন টেবিল জরিপের উদ্দেশ্য ও আওতা
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

র‍্যামসডেনের থিওডোলাইট যন্ত্রটির নির্ভুলতার ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। 1640 সালে উইলিয়াম গ্যাসকোইন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন যা একটি টার্গেট ডিভাইস হিসাবে একটি ইনস্টল করা ক্রসহেয়ার সহ একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। জেমস ওয়াট 1771 সালে দূরত্ব পরিমাপের জন্য একটি অপটিক্যাল মিটার তৈরি করেছিলেন; এটি সমান্তরাল কোণ পরিমাপ করে যেখান থেকে একটি বিন্দুর দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment