জ্যামিতিক চিত্র অঙ্কন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় জ্যামিতিক চিত্র অঙ্কন। এই পাঠটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, এসএসসি পর্যায়ের, ভোকেশনাল ডিসিপ্লিনের “আর্কিটেকচার ড্রাফট উইথ ক্যাড ১” বিষয়ের একটি পাঠ।

জ্যামিতিক চিত্র অঙ্কন

কোণ অঙ্কন করে বিভক্ত করা

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মালামাল

পেনসিল, ইরেজার, স্কচটেপ, সেটক্ষরার, প্যারালাল বার বা টী করার, ড্রয়িং শিট, ডাস্টার, স্কেল, ড্রয়িং বোর্ড। অঙ্কন প্রণালি বইটির তাত্ত্বিক অংশে বর্ণিত আছে।

• কম্পাস-এর সাহায্যে আঁকার সময় সঠিকভাবে ধরতে হবে যেন নড়ে না যায় ।
• ড্রয়িং শিট যেন পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিভিন্ন পদ্ধতিতে বৃত্ত অঙ্কন করা

প্রয়োজনীয় সরলাম ও মালামাল :

পেনসিল, ইরেজার, স্কচটেপ, সেটঙ্কয়ার, প্যারালাল বার বা টা ক্ষরার, ড্রয়িং শিট, ডাস্টার, স্কেল, ড্রয়িং বোর্ড।

অঙ্কন প্রণালি

• একটি বাহুকে ব্যাসার্ধরূপে বৃত্ত অঙ্কনের জন্য বাহুটি সমান ব্যাসার্ধ নিয়ে কম্পাসের সাহায্যে বৃত্তটি আঁকতে হবে।
• একটি ত্রিভুজের বাহুসমূহকে স্পর্শ করিয়ে ভিতরে বৃত্ত অঙ্কনের জন্য ত্রিভুজটির যে কোন দুটি কাণকে সমদ্বিখণ্ডিত করে দ্বিখণ্ডকারের হেল বিন্দু থেকে যে কোনো বাহুর উপর লম্ব আঁকতে হবে। এবার লম্ব সমান ব্যাসার্ধ নিয়ে কম্পাসের সাহায্যে বৃত্তটি আঁকতে হবে।
• একটি চতুর্ভূজের বাহুসমূহকে স্পর্শ করিয়ে ভিতরে বৃত্ত অঙ্কনের জন্য চতুর্ভূজের কর্ণ দুটিকে যোগ করে ছেদ বিন্দু থেকে যে কোনো বাহুর উপর লম্ব আঁকতে হবে। এবার লম্ব সমান ব্যাসার্ধ নিয়ে কম্পাসের সাহায্যে বৃত্তটি আঁকতে হবে।
• ষড়ভূলের শীর্ষ বিন্দুসমূহকে স্পর্শ করিয়ে বাইরে বৃত্ত অঙ্কনের জন্য বিপরীত দিকের দুটি বাহুকে কোণাকুণি যোগ করে ছেদ বিন্দু থেকে যে কোনো শীর্ষ বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে ব্যাসার্ধ নিয়ে কম্পাসের সাহায্যে বৃত্তটি আঁকতে হবে।

নিরামক রেখা ও নাতিবিন্দু দেয়া থাকলে অধিবৃত্ত অঙ্কন

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মালামাল :

পেনসিল, ইরেজার, স্কচটেপ, সেটঙ্কয়ার, প্যারালাল বার বা টা ক্ষরার, ড্রয়িং শিট, ডাস্টার, স্কেল, ড্রয়িং বোর্ড।

• AB নিয়ামক রেখা, OC অক্ষ, ও নাভিবিন্দু F দেয়া আছে। OF কে সমান দুই ভাগে ভাগ করে। D বিন্দু চিহ্নিত করতে হবে যা অধিবৃত্তের ভারটেক্স (Vertex) হল।
• DC রেখার লক্ষ করেটি ছেদ রেখা টেনে ছেদবিন্দুকে 1,2,3,.. ইত্যাদি চিহ্নিত করতে হবে।
• এবার O-1, 0-2, 0-3 ইত্যাদি ব্যাসার্ধ নিয়ে F বিন্দুকে কেন্দ্র করে OC এর উপরে ও নিচে বৃত্তচাপ আঁকতে হবে।
• বৃত্তচাপসমূহের ছেদবিন্দুসমূহ বক্ররেখা দিয়ে যোগ করতে হবে। এটিই নির্ণেয় অধিবৃত্ত।

চিত্র-৪.৮। নিয়ামক রেখা ও নাভিবিন্দু দেরা থাকলে অধিবৃত্ত অঙ্কন

অক্ষ ও দুটি নির্দিষ্ট নাভি বিন্দুর দুরত্ব দেয়া থাকলে পরাবৃত্ত অঞ্চন

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মালামাল :

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

পেনসিল, ইরেজার, স্কচটেপ, সেটফরার, প্যারালাল যার বাটী ক্ষরার, ড্রয়িং শিট, ডাস্টার, স্কেল, ড্রয়িং বোর্ড।

• AB অক্ষ, এর বর্ষিত রেখা, CD ও দুটি নাস্তিবিন্দুর দূরত্ব FF দেয়া থাকলে পরাবৃত্তটি অঙ্কন করতে হবে।
• FC খ FD এর উপরে যথাক্রমে সমান দূরত্ব নিয়ে কিছুবিন্দু 1, 23, 1, 23, .. ইত্যাদি চিহ্নিত করতে হবে।
• এবার A-1 কে ব্যাসার্ধ নিয়ে F বিন্দুকে কেন্দ্র করে এবং এবার B-1 কে ব্যাসার্ধ নিয়ে F’বিন্দুকে কেন্দ্র করে CD এর উপরে নিচে বৃত্তচাপ আঁকতে হবে।
• এবার বৃত্তচাপসমূহের ছেদবিন্দুসমূহ বক্ররেখা দিয়ে যোগ করতে হবে। এটিই নির্ণেয় পরাবৃত্ত।

চিত্র-৪.৮: অঙ্ক ও দুটি নির্দিষ্ট নাভিবিন্দুর দূরত্ব দেয়া থাকলে পরাবৃত্ত অঞ্চন

আরও দেখুন :

• ড্রয়িং শিটে গ্রাফ অঙ্কন করে অক্ষর লিখন