All posts by Sourav

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন নিয়ে আজকের পোস্ট। ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর বিগত প্রশ্নগুলো নিয়ে তালিকা শুরু করছি।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১১-২০১২

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন:

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১১-২০১২

১) নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর সংজ্ঞা লেখ।

ক) এলিভিশন।

খ) কন্টরিং

গ) মিন সি লেভেল  ( MSL)

২) গ্র্রিনহাউজ গ্যাসের সংজ্ঞা দাও । পাঁচটি গ্রিনহাউজ গ্যাসের নাম উল্লেখ কর।

৩) যদি AB, BC AND CA- এর সম্মুখ বিয়ারিং যথাক্রমে 40 ডিগ্রি , 140 ডিগ্রি  এবং 270 ডিগ্রি হয়, তাহলে ABC ত্রিভুজের তিনটি কোনের মান নির্ণয় কর।

৪) বিল্ডিং – এ সাধারণভাবে ব্যবহারিত পাঁচ ধরনের ফাউন্ডেশনের নাম লেখ।

৫) নিম্নের চিত্রে প্রদর্শিত পুকুরটি করতে কী পরিমাণ মাটি কাটার প্রয়োজন হবে তা নির্ণয় কর।

৬) একটি ২০ মিটার লম্বা ক্যান্টিলিভার বিমের B বিন্দুতে 20KN কেন্দ্রীভূত বল কাজ করছে, B ও C এর মধ্যে সমভাবে বিস্তৃত ৫ নিউটন/ মিটার বল কাজ করছে, বিমে সর্বোচ্চ বেন্ডিং মোন্টের নাম বের কর ।

৭) জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।

৮) ভালো বালির বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

৯) ভালো টাইসের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

১০) স্থাপত্যকর্মে ড. ফজলুল রহমান খানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

১১) মুক্তহস্তে অঙ্কনের সংজ্ঞা দাও।

১২) একটি লোক কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছে, মুক্তহস্তে চিত্রটি আঁক।

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৩-২০১৪

১) চারটি বিভিন্ন ধরনের বালি 1:2:3:4  অনুপাতে মিশানো হলো। এদের FM যথাক্রমে 2.6, 2.5, 2.8  এবং 2.4 । মিশ্রিত বালির FM কত?

২) বাগেরহাট এর ষাট গম্বুজ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট লেখ।

৩) মুক্তহস্তে অঙ্কন কর: “একজন ধোপা কাপড় কাচিতেছে” ।

৪) অঙ্কন কর:

ক) একটি ফ্রিজের সম্মুখ দৃশ্য,

খ) একটি কম্পিউটার টেবিলের পার্শ্বদৃশ্য

গ) একটি গোলটেবিলের উপরের দৃশ্য

ঘ) একটি গাড়ির উপরের দৃশ্য।

৬)কিংক্রিটের কার্যপোযোগিতা বর্ণনা কর।

৭)  একটি পুকুরের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটিার , প্রস্থ ৫০ মিটার এবং পার্শ্বঢাল ২:১ খন গভীরতা ৩ মিটার পুকুরের মাটির কাজের পরিমাণ নির্ণয় কর।

৮) এসিড বৃষ্টি কী? গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলোর নাম লেখা।

৯) অর্ডিনারি সিমেন্টের পরীক্ষাগুলোর নাম লেখ।

 

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৪-২০১৫

১) কাঠের সিজনিং এর পাঁচটি উদ্দেশ্য লিখ।

২) পাঁচটি বায়ুদূষক পদার্থের নাম লেখ।

৩) ১০ টি মুঘল আমলের স্থাপত্যের নাম লেখ।

৪) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিটারটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

৫) কাঠের দোষ ভ্রুটিগুলো আলোচনা কর।

৬) অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।

৭) নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর সংজ্ঞা দাও।

ক) এলিভিশন

খ) বিঞ্জ মার্ক

গ) মিন. সি. লেভেল

গ) যন্ত্রের উচ্চতা

৮) দুটি বৃত্ত একটি আয়তক্ষেত্র দ্বারা জানালা গ্রিলের কম্পোজিশন অঙ্কন কর ।

৯) মুক্তহস্তে অঙ্কন কর। “ একটি গাছের নিচে রাখাল ছেলে বসে আছে” ।

১৩) MCQ

ক) পাহাড়পুর কীসের নিদর্শন।

খ) জাগ্রত চেীরঙ্গী এর স্থাপতি কে?

গ) শিকল জরিপের বাধাবিপত্তি কয়টি?

ঘ) 1:2:4  অনুপাতে সিমেন্ট কত?

ঙ) টেরাজো ফ্লোরিং- এ মার্বেল পাথরের আকার কত?

চ) ইটের উপাদানে ফেরিক অক্সাইড এর পরিমাণ কত?

ছ) অতিরিক্ত পোড়ানো ইটকে কী বলা হয়?

জ) দেয়ালের আড়াআড়ি ইটের স্থাপনাকে কী বলে?

ঞ) আদিনা মসজিদের আয়তন কত?

 

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-২০১৬

১) গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কী? গ্রিনহাউজ গ্রাসগুলোর নাম লেখ।

২) গান্টার শিকল ও প্রকেীশল শিকলের মাঝে পার্থক্যগুলো লেখ।

৩) কান্তজির মন্দিরের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলোর নাম লিখ।

৪) একটি রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের পারস্পেকটিভ ভিউ অঙ্কন কর।

৫) ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ দ্বারা একটি রেলিং এর কম্পোজিশন অঙ্কন কর।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ

ক) তাজমহল তৈরি করতে কত সময় লেগেছিল?

খ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নকশা প্রণয়ন করেন কে?

গ) গান্টাস শিকলের দৈর্ঘ্য ।

ঘ) বেঞ্জ মার্ক প্রধানত কত প্রকার।

ঙ) ষাট গম্বুজ মসজিদ কে নির্মান করেন?

চ) ১ ব্যাগ সিমেন্টের ওজন কত পাউন্ড?

ছ) বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসেীধের উচ্চাতা কত?

জ) টেরাজো ফ্লেরিং এ মেঝের কত ভাগ জায়গাতে মার্বেল দানা দেখতে পাওয়া উচিত?

ঝ) ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?

ঞ) কান্তজির মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?

চ) লালবাগ কেল্লা কোন আমলের স্থাপত্য?

ছ) আদিনা মসজিদের আয়তন কত?

 

আরও দেখুন:

আর্কিটেকচার অর্থ কী?

আর্কিটেকচার অর্থ কী? এ নিয়ে আজ আলাপ করবো।  আর্কিটেকচার একটি ইংরেজি শব্দ । যার অর্থ হলো স্থাপত্য বা স্থাপত্যবিদ্যা স্থাপত্যশিল্প , নির্মাণকেীশল, স্থাপত্যকলা, স্থাপত্যকর্ম । এটি একটি সৃজনশীল পেশা।

আর্কিটেকচার অর্থ কী?

আর্কিটেকচার কথাটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় বিল্ডিং, আকাশ ছোঁয়া বহুতল ভবন । আর্কিটেকচার কি আসলেই তাই ? আর্কিটেকচার মানেই কি বহুতল ভবনের নকশা আঁকা ?

-নাহ, আর্কিটেকচার মানে শুধু ভবনের নকশা আঁকা না । আর্কিটেকচার এর নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই । মানুষকে সোজা কথায় বোঝানোর জন্য যা বলা যেতে পারে তা হল, আর্কিটেকচার হল শিল্পকলা ও প্রকৌশলের সমন্বিত এক রুপ ।

সত্যিকার অর্থে আর্কিটেকচার হল এক ধরনের লাইফস্টাইল । এটা আসলে কেমন সেটাও সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয় । তোমার চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই কেবলমাত্র আর্কিটেকচার কে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব ।

আর্কিটেকচারে কি পড়ায় ?

-মানুষ, প্রকৃতি, জীবন, সমাজ আর্কিটেকচারে পড়ার বিষয় । মানুষ কিভাবে চিন্তা করে, মানুষ কি চিন্তা করে , মানুষ কি চায় সব কিছুই তোমাকে পড়তে হবে । এখানে বিল্ডিং ডিজাইনের চেয়ে মানুষ ও পরিবেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিল্ডিং ড্রয়িং এর কাজ তো একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও করতে পারে আবার সাধারন মানুষ ও করতে পারে । সুতরাং সুধুমাত্র বিল্ডিং ড্রয়িং করা শেখানো আর্কিটেকচারের কোর্স নয় । একটা ডিজাইন করার পেছনে যা কিছু করতে হবে সব কিছুই আর্কিটেকচারের অন্তর্ভুক্ত ।

ডাক্তারি পড়লে ডাক্তার হওয়া যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় কিন্তু আর্কিটেকচারে পড়লেই আর্কিটেক্ট হওয়া যায় না । তবে আর্কিটেকচারে পড়লে একটা সুবিধে আছে তুমি এখান থেকেই হতে পার একজন আর্কিওলজিস্ট, ফটোগ্রাফার, একজন সাহিত্যিক অথবা একজন মিউজিক ডিরেক্টর…… । অন্যান্য ডিগ্রি সময়ের সাথে তোমাকে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাবে কিন্তু আর্কিটেকচার সময়ের সাথে একটা একটা করে নতুন পথ খুলে দিবে ।

আর্কিটেকচারে পড়ে কোথায় চাকরি করবে সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই । ইন ফ্যাক্ট যারা আর্কিটেকচারে পড়ে তারা এটা নিয়ে কখনো ভাবে কিনা সন্দেহ ! তবে এতটুকু গ্যারান্টি আছে তুমি কখনো পড়ে থাকবে না ।

আর্কিটেকচার বিষয়টা এমনই যে, পৃথিবীর যে কোন জায়গায় তুমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে । যে কোন মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারবে ।
আর্কিটেকচারে পড়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগে ?

-ভালো ড্রয়িং পারা লাগে ? নাহ এসব কিছুই না । ভালো ড্রয়িং পারলে সেটা তোমার ই লাভ, ভালো ড্রয়িং অন্যের সাথে সহজে কমিউনিকেট করতে সাহায্য করে। নিজের চিন্তা-ভাবনা অন্য মানুষকে সহজে বোঝানো যায় ড্রয়িং এর মাধ্যমে । তাই ড্রয়িং খুব ভালো না পারলেও হবে, মানুষকে বোঝানোর জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু জানলেই হবে ।

আর্কিটেকচারে পড়ার জন্য লাগবে আর্কিটেকচারের প্রতি ভালোবাসা, নতুন কিছু করার প্রচন্ড ইচ্ছে শক্তি আর বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার ক্ষমতা । আর্কিটেকচারের প্রতি ভেতর থেকে টান অনুভব না করলে এখানে আসার দরকার নেই । মানুষ ভালো বলে তাই আর্কিটেকচারে পড়ব এটা করা অন্যতম ভুল । অন্যের কথা শুনে অথবা সাবজেক্ট ডিমান্ড ভালো দেখে আর্কিটেকচারে পড়তে আসলে জীবন দুর্বিঃসহ হয়ে উঠবে । অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় আর্কিটেকচারে । একটা ডিজাইন কে সফল করার জন্য রাত দিন সব এক করে দেয়া লাগে । তারপরেও শুনতে হতে পারে স্যার এর ঝাড়ি অথবা আমলা এর গালি ।

তোমার অন্যান্য ব্যাচমেটরা যখন আড্ডা দিবে তখন তোমাকে মডেল তৈরি করতে হবে । অন্যরা যখন বাইরে ঘুরে বেড়াবে তখন তোমাকে গ্রাফিক্স এর কাজ করতে হবে । পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন সবকিছু বিসর্জন দিয়ে কাজ করতে হবে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। রাস্তাটা বড়ই কঠিন এখানে ।

আর্কিটেকচারে একেকটা ডিজাইন সম্পন্ন করার জন্য তোমাকে একেকটা ক্যারেক্টার এর ভুমিকা পালন করতে হবে । যখন তুমি হসপিটাল ডিজাইন করছে তখন তোমাকে হতে হবে রোগী, ডাক্তার, নার্স, রোগীর আত্মীয়, কর্মচারি অথবা পরিছন্নকর্মী । ভাবতে হবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে । যখন স্কুল ডিজাইন করছ বুঝতে হবে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের সাইকোলজি, টিচারের মানসিকতা অথবা সবার প্রবেশযোগ্যতা নিয়ে ।

ইতিহাস থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সবই আছে আর্কিটেকচারে । আছে আর্ট এপ্রেসিয়েসন, ফটোগ্রাফি অথবা মিউজিক এর স্বাদ বোঝার জন্য এত আকর্ষণীয় সাবজেক্ট ।

নতুন কিছু তৈরি করা, সৃষ্টি সুখের স্বাদ নেওয়া, সৃষ্টির অর্থ খুজে বের করা, স্বাভাবিক এর মাঝে অস্বাভাবিক কিছু করা, বন্ধুকে পরিবার, জীবনকে প্রোজেক্ট করার অধিকার শুধুমাত্র একজন আর্কিটেকচারের স্টুডেন্ট এর ই রয়েছে । আর্কিটেকচার তাদের জন্যই যারা এরকম জীবন চায়… 

 

আরও পড়ুন:

আর্কিটেকচার পড়ার যোগ্যতা

আর্কিটেকচার পড়ার যোগ্যতা নিয়ে আজ আলোচনা করবো। আর্কিটেকচার পড়ার যোগ্যতা যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে তাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় জিপিএ নম্বার অনুসারে প্রত্যেক বছরে একবার করে ভর্তি করানো হয়। আর্কিটেকচার পড়ার যোগ্যতা হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগে পাস হতে হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষা মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করতে হবে। 

যেকোনো প্রতিস্থান নির্মানের পূর্বে প্রয়োজন হয় নকশা । তখন প্রয়োজন পড়ে একজন আর্কিটেক্টের । আর এই নকশা তৈরি করেন একজন আর্কিটেক্টেবা স্থাপতি । একজন আর্কিটেক্ট বিচার করেন জায়গাটি নিরাপদ ও সাস্থ্যসম্মত কি না ও কোনো প্রকারের পরিবেশগত ঝুঁকি আছে কি না। এরপর উক্ত জায়গায় সবচেয়ে সুবিধাজনক ও নান্দনিক ডিজাইন তৈরি করেন।

বাংলাদেশের বেসরকারি ও কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে । আর্কিটেকচার নিয়ে সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা যায়। বাংলাদেশের সরকারি ও বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর্কিটেকচার বিষয়ে Bachelor in Architecture Degree সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে । আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশুনা করে পিএইচডি ডিগ্রি ও লাভ করা যায়।

আর্কিটেকচার পড়ার যোগ্যতা:

বুয়েট:  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( Bangladesh University of Engineering and technology):

বুয়েটে সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশুনা করে মাত্র ৫জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করেন। যা ছিল বুয়েটের ইতিহাসে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশুনা করা প্রথম ব্যাচের সফলতা । পূর্ব বল হয়েছে, আর্কিটেকচার  নিয়ে পড়তে হলে আপনার পড়াশুনার ব্যাগরাউন্ড থাকতে হবে বিজ্ঞান বিভাগে । এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষায় ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান , রসায়ন বিজ্ঞান এবং গনিত বিষয়ে জিপি ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবে । বুয়েট ভর্তি পরিক্ষা ৪০০ নম্বারের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরিক্ষা এবং ৬০০ নম্বারের তত্বীয় পরিক্ষা পাস করতে হবে । মেধা তালিকা আপনাকে ৫৫ এর মধ্যে থাকতে হবে । কারন বুয়েটে আর্কিটেকচার বিভাগের আসন সংখ্যা মাত্র ৫৫। 

আরো জানার থাকলে ক্লিক করুন: www.buet.ac.bd

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ (Khulna University of Engineering & Technology:):

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাকে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়তে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা গনিত( উচ্চতর গনিতসহ ) , পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ৩.৫  এবং ইংরেজিতে ৩ থাকতে হবে । আর্কিটেকচার বিভাগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৩৫ । যারা ভর্তিপরিক্ষা মেধাতালিকা ক্রমঅনুসারে আসবে তারাই মাত্র ভর্তি হতে পারবে । 

চুয়েট:  চট্টগ্রাম প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়( Chittagong University of Engineering & Technology): 

চুয়েট:  চট্টগ্রাম প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় – এ আর্কিটেকচার  নিয়ে পড়াশুনা করতে হলে , মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা জিপিএ ৪.০০ (অপশনাল বাদে ) থাকতে হবে। চুয়েটে আর্কিটেকচার বিভাগে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৩০ টি। ভর্তি পরীক্ষা উর্ত্তীর্ন  মেধাতালিকা অনুসারে ভর্তি হওয়া যাবে। 

আরোকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা: 

১) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। 

২) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় । 

৩) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। 

৪) আনসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

৫) ইউনির্ভাসিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। 

৬) . ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

৭) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

 

আরও পড়ুন:

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের আলোচনা। আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ডিজািইন বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র । যারা নিজের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগানো চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন । বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে এই কাজের চাহিদা ব্যাপক।

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন মূল কাজেই হচ্ছে অফিস বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের লাইট, আসবাসপত্র এবং গৃহসজ্জা সামগ্রী যথাযথ স্থানে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান বা বাড়িকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা। 

আর্কিটেকচার বলতে বুঝায় স্থাপনার ডিজাইন বা নকশা করা এবং যারা এই কাজ করে বা এই কাজের সাথে জড়িত বা এই কাজের নকশা তৈরি করে তারাই হলো স্থপতি বা আর্কিটেক্ট। 

বর্তমান সময়ে আধুনিকতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কোনো বিকল্প নেই । মানুষ নিজের সৃজনশীলতাকে বিকাশ ঘটিয়ে আবাসস্থল ও অফিস-আদালত,হাসপাতাল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান  থেকে শুরু করে সব কিছুর সুন্দর বা আকর্ষনীয় করতে চায়।  আবাসস্থলের দরজা, জানালা, মেঝে, আসবাবপত্র, ঘরের কাপড়গুলো কোন জায়গা রাখতে হবে এবং দেওয়ালের রং কোমন হবে সে হিসাবটাও করে দেন একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মোটকথায় বলা চলে স্থাপনার ভিতরের ও বাহিরের রঙ,সঠিকভাবে সকল জিনিসপত্র ডিজাইন ও রঙে থেকে শুরু করে স্বল্প জায়গাকে কীভাবে বেশী করে ব্যবহার করা যায়,  এরকম  যাবতীয় ডিজাইন ও সঠিক বাস্তবায়ন করাটাই একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ। 

আর্কিটেকচার: 

একজন আর্কিটেকচারের মূলভাব হলো ভবন নির্মাণ আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে এবং কাঠামো শক্তিশালী হবে । বাংলাদেশের একটি ভবন হলো বাংলাদেশ ভবন, যাতে আধুনিক আর্কিটেকচারের মূলভাব ব্যবহার করা হয়েছে ।

আধুনিক আর্কিটেকচারের কিছু মূলভাব নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতিতে মূলত দুটি সাইট থাকে- প্রথমটি হলো, অফ-সাইট এবং দ্বিতীয়টি হলো অন-সাইট। অফ-সাইট দ্বারা দ্রুত ইমারত স্থাপনাকে বুঝায় এবং অন-সাইট দ্বারা শক্তিশালী নির্মাণপদ্ধতিকে বুঝায়।
  2. এটি যথাযথ নির্মাণকেীশল।
  3. এটি একদিকে যেমন মডুলার পদ্ধতি, অপরদিকে বড় প্যানেল পদ্ধতি।
  4. এটির  ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন পদ্ধতি খুবই অধ্যাধুনিক।
  5. বিশেষজ্ঞ দ্বারা এই নির্মাণপদ্ধতির উপকরণসমূহের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
  6. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতির মধ্যে এটি একটি আদর্শ পদ্ধতি ।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন:

ইন্টেরিয়র শব্দটি এসেছি ল্যাটিক শব্দ Into থেকে । যার অর্থ হলো ভিতরে, এর সঙ্গে এড হয়েছে ডিজাইন শব্দ – যার অর্থ হলো নকশা । ইন্টেরিয়র ডিজাইন শব্দের অর্থ হলো- ভিতরের বা অভ্যন্তরীন নকশা করা। যেমনঃ একটি বাড়ি তৈরি করার পর এর ভিতরে কি ধরনের সাজসজ্জা হবে তা নিয়ে বাড়ির মালিককে ভাবতে হয় তখন প্রয়োজন পড়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বাড়ির কাঠামো ও নকশা দেখে ঠিক করে : বেডরুম থেকে শুরু বাড়ির সকল রুম , দেওয়াল , জানালা, পর্দা ইত্যাদি কী ধরনের হলে বাড়িটি সুন্দর দেখাবে তা ঠিক করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

আরও পড়ুন: