Category Archives: আপডেট

কৃষি বিষয়ক সকল আপডেট

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন নিয়ে আজকের পোস্ট। ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর বিগত প্রশ্নগুলো নিয়ে তালিকা শুরু করছি।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১১-২০১২

আর্কিটেকচার ভর্তি প্রশ্ন:

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১১-২০১২

১) নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর সংজ্ঞা লেখ।

ক) এলিভিশন।

খ) কন্টরিং

গ) মিন সি লেভেল  ( MSL)

২) গ্র্রিনহাউজ গ্যাসের সংজ্ঞা দাও । পাঁচটি গ্রিনহাউজ গ্যাসের নাম উল্লেখ কর।

৩) যদি AB, BC AND CA- এর সম্মুখ বিয়ারিং যথাক্রমে 40 ডিগ্রি , 140 ডিগ্রি  এবং 270 ডিগ্রি হয়, তাহলে ABC ত্রিভুজের তিনটি কোনের মান নির্ণয় কর।

৪) বিল্ডিং – এ সাধারণভাবে ব্যবহারিত পাঁচ ধরনের ফাউন্ডেশনের নাম লেখ।

৫) নিম্নের চিত্রে প্রদর্শিত পুকুরটি করতে কী পরিমাণ মাটি কাটার প্রয়োজন হবে তা নির্ণয় কর।

৬) একটি ২০ মিটার লম্বা ক্যান্টিলিভার বিমের B বিন্দুতে 20KN কেন্দ্রীভূত বল কাজ করছে, B ও C এর মধ্যে সমভাবে বিস্তৃত ৫ নিউটন/ মিটার বল কাজ করছে, বিমে সর্বোচ্চ বেন্ডিং মোন্টের নাম বের কর ।

৭) জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।

৮) ভালো বালির বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

৯) ভালো টাইসের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

১০) স্থাপত্যকর্মে ড. ফজলুল রহমান খানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

১১) মুক্তহস্তে অঙ্কনের সংজ্ঞা দাও।

১২) একটি লোক কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছে, মুক্তহস্তে চিত্রটি আঁক।

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৩-২০১৪

১) চারটি বিভিন্ন ধরনের বালি 1:2:3:4  অনুপাতে মিশানো হলো। এদের FM যথাক্রমে 2.6, 2.5, 2.8  এবং 2.4 । মিশ্রিত বালির FM কত?

২) বাগেরহাট এর ষাট গম্বুজ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট লেখ।

৩) মুক্তহস্তে অঙ্কন কর: “একজন ধোপা কাপড় কাচিতেছে” ।

৪) অঙ্কন কর:

ক) একটি ফ্রিজের সম্মুখ দৃশ্য,

খ) একটি কম্পিউটার টেবিলের পার্শ্বদৃশ্য

গ) একটি গোলটেবিলের উপরের দৃশ্য

ঘ) একটি গাড়ির উপরের দৃশ্য।

৬)কিংক্রিটের কার্যপোযোগিতা বর্ণনা কর।

৭)  একটি পুকুরের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটিার , প্রস্থ ৫০ মিটার এবং পার্শ্বঢাল ২:১ খন গভীরতা ৩ মিটার পুকুরের মাটির কাজের পরিমাণ নির্ণয় কর।

৮) এসিড বৃষ্টি কী? গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলোর নাম লেখা।

৯) অর্ডিনারি সিমেন্টের পরীক্ষাগুলোর নাম লেখ।

 

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৪-২০১৫

১) কাঠের সিজনিং এর পাঁচটি উদ্দেশ্য লিখ।

২) পাঁচটি বায়ুদূষক পদার্থের নাম লেখ।

৩) ১০ টি মুঘল আমলের স্থাপত্যের নাম লেখ।

৪) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিটারটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

৫) কাঠের দোষ ভ্রুটিগুলো আলোচনা কর।

৬) অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।

৭) নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর সংজ্ঞা দাও।

ক) এলিভিশন

খ) বিঞ্জ মার্ক

গ) মিন. সি. লেভেল

গ) যন্ত্রের উচ্চতা

৮) দুটি বৃত্ত একটি আয়তক্ষেত্র দ্বারা জানালা গ্রিলের কম্পোজিশন অঙ্কন কর ।

৯) মুক্তহস্তে অঙ্কন কর। “ একটি গাছের নিচে রাখাল ছেলে বসে আছে” ।

১৩) MCQ

ক) পাহাড়পুর কীসের নিদর্শন।

খ) জাগ্রত চেীরঙ্গী এর স্থাপতি কে?

গ) শিকল জরিপের বাধাবিপত্তি কয়টি?

ঘ) 1:2:4  অনুপাতে সিমেন্ট কত?

ঙ) টেরাজো ফ্লোরিং- এ মার্বেল পাথরের আকার কত?

চ) ইটের উপাদানে ফেরিক অক্সাইড এর পরিমাণ কত?

ছ) অতিরিক্ত পোড়ানো ইটকে কী বলা হয়?

জ) দেয়ালের আড়াআড়ি ইটের স্থাপনাকে কী বলে?

ঞ) আদিনা মসজিদের আয়তন কত?

 

 

ঢাকা প্রকেীশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

ভর্তি পরীরক্ষা: শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-২০১৬

১) গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কী? গ্রিনহাউজ গ্রাসগুলোর নাম লেখ।

২) গান্টার শিকল ও প্রকেীশল শিকলের মাঝে পার্থক্যগুলো লেখ।

৩) কান্তজির মন্দিরের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলোর নাম লিখ।

৪) একটি রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের পারস্পেকটিভ ভিউ অঙ্কন কর।

৫) ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ দ্বারা একটি রেলিং এর কম্পোজিশন অঙ্কন কর।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ

ক) তাজমহল তৈরি করতে কত সময় লেগেছিল?

খ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নকশা প্রণয়ন করেন কে?

গ) গান্টাস শিকলের দৈর্ঘ্য ।

ঘ) বেঞ্জ মার্ক প্রধানত কত প্রকার।

ঙ) ষাট গম্বুজ মসজিদ কে নির্মান করেন?

চ) ১ ব্যাগ সিমেন্টের ওজন কত পাউন্ড?

ছ) বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসেীধের উচ্চাতা কত?

জ) টেরাজো ফ্লেরিং এ মেঝের কত ভাগ জায়গাতে মার্বেল দানা দেখতে পাওয়া উচিত?

ঝ) ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?

ঞ) কান্তজির মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?

চ) লালবাগ কেল্লা কোন আমলের স্থাপত্য?

ছ) আদিনা মসজিদের আয়তন কত?

 

আরও দেখুন:

আর্কিটেকচার অর্থ কী?

আর্কিটেকচার অর্থ কী? এ নিয়ে আজ আলাপ করবো।  আর্কিটেকচার একটি ইংরেজি শব্দ । যার অর্থ হলো স্থাপত্য বা স্থাপত্যবিদ্যা স্থাপত্যশিল্প , নির্মাণকেীশল, স্থাপত্যকলা, স্থাপত্যকর্ম । এটি একটি সৃজনশীল পেশা।

আর্কিটেকচার অর্থ কী?

আর্কিটেকচার কথাটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় বিল্ডিং, আকাশ ছোঁয়া বহুতল ভবন । আর্কিটেকচার কি আসলেই তাই ? আর্কিটেকচার মানেই কি বহুতল ভবনের নকশা আঁকা ?

-নাহ, আর্কিটেকচার মানে শুধু ভবনের নকশা আঁকা না । আর্কিটেকচার এর নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই । মানুষকে সোজা কথায় বোঝানোর জন্য যা বলা যেতে পারে তা হল, আর্কিটেকচার হল শিল্পকলা ও প্রকৌশলের সমন্বিত এক রুপ ।

সত্যিকার অর্থে আর্কিটেকচার হল এক ধরনের লাইফস্টাইল । এটা আসলে কেমন সেটাও সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয় । তোমার চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই কেবলমাত্র আর্কিটেকচার কে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব ।

আর্কিটেকচারে কি পড়ায় ?

-মানুষ, প্রকৃতি, জীবন, সমাজ আর্কিটেকচারে পড়ার বিষয় । মানুষ কিভাবে চিন্তা করে, মানুষ কি চিন্তা করে , মানুষ কি চায় সব কিছুই তোমাকে পড়তে হবে । এখানে বিল্ডিং ডিজাইনের চেয়ে মানুষ ও পরিবেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিল্ডিং ড্রয়িং এর কাজ তো একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও করতে পারে আবার সাধারন মানুষ ও করতে পারে । সুতরাং সুধুমাত্র বিল্ডিং ড্রয়িং করা শেখানো আর্কিটেকচারের কোর্স নয় । একটা ডিজাইন করার পেছনে যা কিছু করতে হবে সব কিছুই আর্কিটেকচারের অন্তর্ভুক্ত ।

ডাক্তারি পড়লে ডাক্তার হওয়া যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় কিন্তু আর্কিটেকচারে পড়লেই আর্কিটেক্ট হওয়া যায় না । তবে আর্কিটেকচারে পড়লে একটা সুবিধে আছে তুমি এখান থেকেই হতে পার একজন আর্কিওলজিস্ট, ফটোগ্রাফার, একজন সাহিত্যিক অথবা একজন মিউজিক ডিরেক্টর…… । অন্যান্য ডিগ্রি সময়ের সাথে তোমাকে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাবে কিন্তু আর্কিটেকচার সময়ের সাথে একটা একটা করে নতুন পথ খুলে দিবে ।

আর্কিটেকচারে পড়ে কোথায় চাকরি করবে সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই । ইন ফ্যাক্ট যারা আর্কিটেকচারে পড়ে তারা এটা নিয়ে কখনো ভাবে কিনা সন্দেহ ! তবে এতটুকু গ্যারান্টি আছে তুমি কখনো পড়ে থাকবে না ।

আর্কিটেকচার বিষয়টা এমনই যে, পৃথিবীর যে কোন জায়গায় তুমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে । যে কোন মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারবে ।
আর্কিটেকচারে পড়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগে ?

-ভালো ড্রয়িং পারা লাগে ? নাহ এসব কিছুই না । ভালো ড্রয়িং পারলে সেটা তোমার ই লাভ, ভালো ড্রয়িং অন্যের সাথে সহজে কমিউনিকেট করতে সাহায্য করে। নিজের চিন্তা-ভাবনা অন্য মানুষকে সহজে বোঝানো যায় ড্রয়িং এর মাধ্যমে । তাই ড্রয়িং খুব ভালো না পারলেও হবে, মানুষকে বোঝানোর জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু জানলেই হবে ।

আর্কিটেকচারে পড়ার জন্য লাগবে আর্কিটেকচারের প্রতি ভালোবাসা, নতুন কিছু করার প্রচন্ড ইচ্ছে শক্তি আর বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার ক্ষমতা । আর্কিটেকচারের প্রতি ভেতর থেকে টান অনুভব না করলে এখানে আসার দরকার নেই । মানুষ ভালো বলে তাই আর্কিটেকচারে পড়ব এটা করা অন্যতম ভুল । অন্যের কথা শুনে অথবা সাবজেক্ট ডিমান্ড ভালো দেখে আর্কিটেকচারে পড়তে আসলে জীবন দুর্বিঃসহ হয়ে উঠবে । অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় আর্কিটেকচারে । একটা ডিজাইন কে সফল করার জন্য রাত দিন সব এক করে দেয়া লাগে । তারপরেও শুনতে হতে পারে স্যার এর ঝাড়ি অথবা আমলা এর গালি ।

তোমার অন্যান্য ব্যাচমেটরা যখন আড্ডা দিবে তখন তোমাকে মডেল তৈরি করতে হবে । অন্যরা যখন বাইরে ঘুরে বেড়াবে তখন তোমাকে গ্রাফিক্স এর কাজ করতে হবে । পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন সবকিছু বিসর্জন দিয়ে কাজ করতে হবে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। রাস্তাটা বড়ই কঠিন এখানে ।

আর্কিটেকচারে একেকটা ডিজাইন সম্পন্ন করার জন্য তোমাকে একেকটা ক্যারেক্টার এর ভুমিকা পালন করতে হবে । যখন তুমি হসপিটাল ডিজাইন করছে তখন তোমাকে হতে হবে রোগী, ডাক্তার, নার্স, রোগীর আত্মীয়, কর্মচারি অথবা পরিছন্নকর্মী । ভাবতে হবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে । যখন স্কুল ডিজাইন করছ বুঝতে হবে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের সাইকোলজি, টিচারের মানসিকতা অথবা সবার প্রবেশযোগ্যতা নিয়ে ।

ইতিহাস থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সবই আছে আর্কিটেকচারে । আছে আর্ট এপ্রেসিয়েসন, ফটোগ্রাফি অথবা মিউজিক এর স্বাদ বোঝার জন্য এত আকর্ষণীয় সাবজেক্ট ।

নতুন কিছু তৈরি করা, সৃষ্টি সুখের স্বাদ নেওয়া, সৃষ্টির অর্থ খুজে বের করা, স্বাভাবিক এর মাঝে অস্বাভাবিক কিছু করা, বন্ধুকে পরিবার, জীবনকে প্রোজেক্ট করার অধিকার শুধুমাত্র একজন আর্কিটেকচারের স্টুডেন্ট এর ই রয়েছে । আর্কিটেকচার তাদের জন্যই যারা এরকম জীবন চায়… 

 

আরও পড়ুন:

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের আলোচনা। আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ডিজািইন বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র । যারা নিজের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগানো চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন । বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে এই কাজের চাহিদা ব্যাপক।

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনেক ক্যারিয়ার

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন মূল কাজেই হচ্ছে অফিস বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের লাইট, আসবাসপত্র এবং গৃহসজ্জা সামগ্রী যথাযথ স্থানে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান বা বাড়িকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা। 

আর্কিটেকচার বলতে বুঝায় স্থাপনার ডিজাইন বা নকশা করা এবং যারা এই কাজ করে বা এই কাজের সাথে জড়িত বা এই কাজের নকশা তৈরি করে তারাই হলো স্থপতি বা আর্কিটেক্ট। 

বর্তমান সময়ে আধুনিকতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কোনো বিকল্প নেই । মানুষ নিজের সৃজনশীলতাকে বিকাশ ঘটিয়ে আবাসস্থল ও অফিস-আদালত,হাসপাতাল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান  থেকে শুরু করে সব কিছুর সুন্দর বা আকর্ষনীয় করতে চায়।  আবাসস্থলের দরজা, জানালা, মেঝে, আসবাবপত্র, ঘরের কাপড়গুলো কোন জায়গা রাখতে হবে এবং দেওয়ালের রং কোমন হবে সে হিসাবটাও করে দেন একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মোটকথায় বলা চলে স্থাপনার ভিতরের ও বাহিরের রঙ,সঠিকভাবে সকল জিনিসপত্র ডিজাইন ও রঙে থেকে শুরু করে স্বল্প জায়গাকে কীভাবে বেশী করে ব্যবহার করা যায়,  এরকম  যাবতীয় ডিজাইন ও সঠিক বাস্তবায়ন করাটাই একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ। 

আর্কিটেকচার: 

একজন আর্কিটেকচারের মূলভাব হলো ভবন নির্মাণ আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে এবং কাঠামো শক্তিশালী হবে । বাংলাদেশের একটি ভবন হলো বাংলাদেশ ভবন, যাতে আধুনিক আর্কিটেকচারের মূলভাব ব্যবহার করা হয়েছে ।

আধুনিক আর্কিটেকচারের কিছু মূলভাব নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতিতে মূলত দুটি সাইট থাকে- প্রথমটি হলো, অফ-সাইট এবং দ্বিতীয়টি হলো অন-সাইট। অফ-সাইট দ্বারা দ্রুত ইমারত স্থাপনাকে বুঝায় এবং অন-সাইট দ্বারা শক্তিশালী নির্মাণপদ্ধতিকে বুঝায়।
  2. এটি যথাযথ নির্মাণকেীশল।
  3. এটি একদিকে যেমন মডুলার পদ্ধতি, অপরদিকে বড় প্যানেল পদ্ধতি।
  4. এটির  ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন পদ্ধতি খুবই অধ্যাধুনিক।
  5. বিশেষজ্ঞ দ্বারা এই নির্মাণপদ্ধতির উপকরণসমূহের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
  6. আধুনিক নির্মাণপদ্ধতির মধ্যে এটি একটি আদর্শ পদ্ধতি ।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন:

ইন্টেরিয়র শব্দটি এসেছি ল্যাটিক শব্দ Into থেকে । যার অর্থ হলো ভিতরে, এর সঙ্গে এড হয়েছে ডিজাইন শব্দ – যার অর্থ হলো নকশা । ইন্টেরিয়র ডিজাইন শব্দের অর্থ হলো- ভিতরের বা অভ্যন্তরীন নকশা করা। যেমনঃ একটি বাড়ি তৈরি করার পর এর ভিতরে কি ধরনের সাজসজ্জা হবে তা নিয়ে বাড়ির মালিককে ভাবতে হয় তখন প্রয়োজন পড়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বাড়ির কাঠামো ও নকশা দেখে ঠিক করে : বেডরুম থেকে শুরু বাড়ির সকল রুম , দেওয়াল , জানালা, পর্দা ইত্যাদি কী ধরনের হলে বাড়িটি সুন্দর দেখাবে তা ঠিক করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

আরও পড়ুন:

আর্কিটেক্ট পেশা | Architect Career | ক্যারিয়ার ক্যাটালগ

আর্কিটেক্ট পেশা | ক্যারিয়ার ক্যাটালগ : দিনদিন চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অপার সম্ভাবনাময় আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের ক্ষেত্রটি প্রসারিত হচ্ছে। প্রথম দিকে হাতেগোনা কিছু কোম্পানি ঢাকাকেন্দ্রিক বিল্ডিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করলেও বর্তমানে রাজধানীর বাইরের বড় শহরগুলোতেও বিল্ডিং এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের সহায়তা নিতে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক মাত্রা ছাড়িয়ে ক্রেতার সংস্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন চাহিদা, দুর্যোগ মোকাবেলায় ভবনের দৃঢ়তা, দীর্ঘ স্থায়িত্ব, দর্শনীয় নান্দনিকতা প্রভৃতি বিষয় দ্রুত প্রসারমান আর্কিটেক্ট ক্ষেত্রটিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পূরণ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত: শামস্ বিশ্বস

City Lights – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

[ আর্কিটেক্ট পেশা | ক্যারিয়ার ক্যাটালগ ]

আর্কিটেক্ট

রোজ উঁচু থেকে উচ্চতর টাওয়ার নির্মিত হয় যাদের মাঝে অসংখ্য জটিল সেতু দিয়ে জোড়া সেই সব বাড়ি, সেখানে একজন আর্কিটেক্টদের কাজ মোটেও সহজ কথা নয়। আর নগরায়নের কাজ কোন ভাবেই আর্কিটেক্টকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না। তাই যাদের এই কাজে আগ্রহও আছে তারা বেছে নিতেই পারে এই পেশা। স্থাপত্য শিল্পের সাথে নান্দনিকতা বোধের মিশেলে নতুন শহরের নতুন নতুন ইমারত তৈরি হবে তাদের হাত ধরে।

এই শাখার নানা দিক আছে। কেউ স্পেশালাইজেশন করতে পারে ল্যন্ডস্কেপ ডিজাইনে, কেউ কাজ করতে পারে আরবান প্ল্যানর হিসেবে, বা কেউ প্রাচীন স্থাপত্যের পুনর্নির্মাণে। এ ছাড়াও আছে নানা পথ। এ পেশায় নিজের উন্নতির পাশাপাশি দেশ ও জাতির উন্নয়নেও ভূমিকা রাখা যায়। এখানে মেধা বিকাশের পাশাপাশি রয়েছে অনেক আয়ের সুযোগ। সরকারি তো বটেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আর্কিটেক্টদের চাহিদা এখন অত্যন্ত ব্যাপক।

City – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

আর্কিটেক্ট কে?

আর্কিটেক্ট বা স্থপতি হলেন একজন ব্যক্তি যিনি ভবনের পরিকল্পনা, নকশা ও নির্মাণ ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত। স্থাপত্য অনুশীলন বলতে কোন সাইটের পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে সম্মিলন করে কোন ভবন এবং এর স্পেসের ডিজাইন ও নির্মাণের জন্য প্রদানকৃত পরিষেবাকে বোঝায়। ব্যুৎপত্তিগতভাবে স্থপতি শব্দটি ইংরেজি আর্কিটেক্ট (Architect) শব্দটি থেকে এসেছে। এ শব্দটি আবার ল্যাটিন আর্কিটেক্টাস থেকে এসেছে, যার উৎপত্তি গ্রীক আর্খিটেক্টন (আর্খি-, প্রধান + টেক্টন, নির্মাতা; অর্থাৎ, প্রধান নির্মাতা) থেকে।

পেশাগতভাবে একজন স্থপতির কাজ জননিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য স্থপতিকে বিশেষায়িত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অর্জন করতে হয়। স্থাপত্য চর্চার জন্য স্থপতির লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়, যা একজন স্থপতির যোগ্যতার উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়। স্থপতি ও স্থাপত্য শব্দ দুইটি ল্যান্ডস্কেপ স্থাপত্য, নৌযান স্থাপত্য এবং তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থপতি ও ল্যান্ডস্কেপ স্থপতি শব্দ দুইটি পেশাগত ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আইন দ্বারা সুরক্ষিত।

প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় ইতিহাসে অধিকাংশ স্থাপত্য নকশা ও নির্মাণ কারিগর দ্বারা সম্পন্ন হতো। প্রধান নির্মাতার ভূমিকা পালন করতো সেখানে রাজমিস্ত্রি বা ছুতারমিস্ত্রীরাই। আধুনিক সময়ের আগ পর্যন্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী মধ্যে স্পষ্ট কোন প্রভেদ ছিলনা।

আর্কিটেক্ট একটি সৃজনশীল পেশা। এ পেশার সাথে জড়িয়ে নিজেকে একজন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় সহজেই। যদি চাকরি করার ইচ্ছা না থাকে, তবে একটি ফার্ম চালু করে স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারে। একজন স্থপতি শুধু কোন স্থাপনাকেই সৌন্দর্যমন্ডিত করেন না, বরং বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার নিরিখে স্থাপনা তৈরিতেও প্রয়াসী হন। যেমন- জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সার্ক ফোয়ারা, হাতিরঝিল, মতিঝিলে অবস্থিত শাপলা চত্বরের শাপলা ফুল তৈরিতে একজন স্থপতির ভূমিকাই মুখ্য। এছাড়াও বিখ্যাত স্থাপনা যেমন- সংসদ ভবন তৈরিতেও স্থপতির ভাবনাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

এতে সৃজনশীলতার পরিচয় তো মেলেই সেই সঙ্গে পাওয়া যায় দেশে বিদেশে স্বনামে খ্যাত হওয়ার সুযোগ। মানুষের আবাসন চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণী গোষ্ঠীর জন্য বিবিধ পরিকল্পনা নিয়ে আর্কিটেক্টরা কাজ করে। আর্কিটেক্ট বা স্থপতি হতে পারা যে কারো জন্য গর্বের বিষয়। উচ্চ আয় ও সামাজিক মর্যাদা দুটিই অর্জিত হয় আর্কিটেক্ট হওয়ার ভেতর দিয়ে।

City – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

কেন আর্কিটেক্ট হওয়া?

কোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে প্রয়োজন নকশা। আর সে নকশা করেন স্থপতি বা আর্কিটেক্ট। একজন স্থপতিই নিশ্চিত করেন স্থাপনাটি পরিবেশসম্মত, ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ কি না। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হবু স্থপতিকে দুনিয়ার তাবৎ জিনিস সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

অধিকাংশ উন্নত দেশেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যথাযথ লাইসেন্স, সনদ কিংবা নিবন্ধন অর্জনকারী যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই শুধুমাত্র আইনত স্থাপত্য অনুশীলন করতে পারে। এ ধরনের লাইসেন্সের জন্য সাধারণত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন, স্নাতক পরীক্ষার উত্তীর্ণ হওয়া এবং নির্ধারিত প্রশিক্ষণকালীন সময় সফলভাবে সমাপ্ত করতে হয়। ‘স্থপতি’ বা ‘আর্কিটেক্ট’ পদবীটি কেবল মাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য আইন দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়েছে।

Architect – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

আর্কিটেক্ট হিসাবে কাজের সুযোগ

স্বল্পসম্পদ ও পরিমিত আবাসযোগ্য জমি এ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে সফলভাবে পরিকল্পনা মাফিক নগরায়ণ ও স্যাটেলাইট সিটি স্থাপন একজন সফল আর্কিটেক্ট কিংবা আর্কিটেকচারাল কোম্পানিগুলোর সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ। বিল্ডিং ডিজাইন, স্থায়িত্ব, শৈল্পিক এবং নান্দনিক করার ক্ষেত্রে ক্রেতামুখী ও যুগোপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রটির উদ্যোক্তারা আর্কিটেক্ট বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক, তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পড়াশোনা জানা লোকবলের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আর্কিটেক্টদের।

একটা সময় হাতেগোনা কিছু কোম্পানি ঢাকাকেন্দ্রিক বিল্ডিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করলেও বর্তমানে ঢাকা ও এর বাইরের বড় শহরগুলোতেও বিল্ডিং এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের সহায়তা নিতে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

Architect – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]
সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক মাত্রা ছাড়িয়ে ক্রেতার সংস্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন চাহিদা, দুর্যোগ মোকাবেলায় ভবনের দৃঢ়তা, দীর্ঘ স্থায়িত্ব, দর্শনীয় নান্দনিকতা প্রভৃতি বিষয় দ্রুত প্রসারমান আর্কিটেক্ট ক্ষেত্রটিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পূরণ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের বহু আর্কিটেকচারাল কনসালট্যান্সি ফার্ম রয়েছে, যাতে কাজ করার মতো বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব রয়েছে।

আমাদের দেশে স্থপতিদের চাকরির অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে রয়েছে স্থাপত্য অধিদপ্তর, রাজউক, কেডিএ, অরডিএ, সিডিএ, ডিসিসি, কেসিসি, আরসিসি ইত্যাদি। বেসরকারি আর্কিটেকচারাল ফার্ম ও ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রিয়েল এস্টেটের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহে স্থপতিদের চাকরির সুযোগ এখন অনেক বেশি। কাজের সুযোগ আছে বিদেশেও। যেমন- উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের স্থপতিদের বেশ চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৩০-৪০ শতাংশ স্থপতিই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

City Lights – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

স্থপতি হবার জন্য পড়াশুনা

স্থাপত্য বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, তাদের বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ মান অনুসারে প্রতিবছর একবার ভর্তি করানো হয়। স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির পরীক্ষার জন্য অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। স্থাপত্য বিষয়ে পড়াশোনা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর খরচ ৬-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ পড়বে অনেক কম। কিন্তু আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এ বিষয়ে ভর্তি হতে প্রবল প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে।

City Lights – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

সফল স্থপতির গুণাবলী

একজন সফল আর্কিটেক্ট হতে চাইলে যে গুণাবলী থাকা দরকার সেগুলো হল- একজন ভালো স্থপতি হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে সৃজনশীল হওয়া। দেশ-বিদেশের বড় বড় স্থাপনার নকশা সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখতে হবে। ক্লায়েন্টের আর্থসামাজিক অবস্থা বুঝে যথাযথ প্ল্যান দিতে হবে। ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করতে থাকা চাই ভালো যোগাযোগ দক্ষতা। উদ্যমী হতে না পারলে এই পেশায় সফল হওয়াটা খুব কঠিন। কাজের মাধ্যমে নিজের প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। প্রতিনিয়ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী হলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া খুব সহজ হবে।

Architect – Architecture GOLN [ architecturegoln.com ]

আর্কিটেক্ট-এর আয়-রোজগার

একজন আর্কিটেক্ট চাকরির শুরুতে ২০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। তবে ছয় মাসের মধ্যে সে যদি তার কাজের দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হয় তাহলে তার আয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে। একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট মাসে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করে।

আমরা গুরুকুলের বিষয়ভিত্তিক ওয়েবসাইটে সেই বিষয়ক ক্যারিয়ারের একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করছি। আপনার আগ্রহের পেশাটি দেখতে আমাদের ওই বিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আরও পড়ুন:

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্যবিদ্যা

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্যবিদ্যা : একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি বরাবরই সচেষ্ট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে এবং সময়ের সাথে তালমিলিয়ে চলতে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন নতুন বিষয় তাদের কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করছে। এর ধারাবাহিকতায় এবারে চালু হয়েছে স্থাপত্য বিভাগ। মানুষের আবাসন চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণিগোষ্ঠীর জন্য বিবিধ পরিকল্পনা নিয়ে স্থাপত্যবিদরা কাজ করেন।

[ সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্যবিদ্যা ]

ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রটি ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। প্রথম দিকে হাতে গোনা কিছু কোম্পানি ঢাকাকেন্দ্রিক বিল্ডিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করলেও বর্তমানে ঢাকা ও এর বাইরের বড় শহরগুলোতেও বিল্ডিং এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের সহায়তা নিতে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক মাত্রা ছাড়িয়ে ক্রেতার সংস্থাপন-সংক্রান্ত বিভিন্ন চাহিদা, দুর্যোগ মোকাবেলায় ভবনের দৃঢ়তা, দীর্ঘস্থায়িত্ব, নান্দনিকতা প্রভৃতি বিষয় দ্রুত প্রসারমান এই ক্ষেত্রটিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পূরণ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বল্পসম্পদ ও পরিমিত আবাসযোগ্য জমি এ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে সফলভাবে পরিকল্পনা মাফিক নগরায়ন ও স্যাটেলাইট সিটি স্থাপন একজন সফল আর্কিটেক্ট কিংবা আর্কিটেকচারাল কোম্পানিগুলোর সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিল্ডিং ডিজাইন, স্থায়িত্ব, শৈল্পিক এবং নান্দনিক করার ক্ষেত্রে ক্রেতামুখী ও যুগোপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রটির উদ্যোক্তারা আর্কিটেক্ট বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক, তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পড়াশোনা জানা লোকবলের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন। বাংলাদেশের বহু আর্কিটেকচারাল কনসালট্যান্সি ফার্ম রয়েছে, যাতে কাজ করার মতো বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব রয়েছে।

সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার বিষয়টির ওপর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থাপিত ডিজাইন স্টুডিও এবং স্টিল অ্যান্ড কনক্রিট ল্যাব, কার্পেন্ট্রি ওয়ার্কশপ, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপসহ ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধায় সমৃদ্ধ সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগ দেশের স্থাপত্য শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে দেশের প্রতিষ্ঠিত স্থপতি এবং স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। ০১৭৬৭৭৭৭২২২, ৮১৮৯০৩৬-৭ নম্বরে ফোন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের পড়ালেখা এবং অন্যান্য বিষয়ের তথ্যগুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে পাঁচ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি ১৫ সেমিস্টারে ১৯৬ ক্রেডিটে সম্পন্ন করতে হয়। এ কোর্সে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, তা হলো—ডিজাইন স্টুডিও, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ম্যাথমেটিকস ফর আর্কিটেক্ট, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ডকুমেন্টেশন, গ্রাফিকস অ্যান্ড ফ্রি হ্যান্ড ড্রইং, বিল্ডিং ফিজিক্স, ডিজাইন থিওরি, ইকোলজি, আর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন, মিউজিক অ্যাপ্রিসিয়েশন, ডিজিটাল কমিউনিকেশন স্কিল, বিল্ডিং অ্যান্ড ফিনিশ ম্যাটেরিয়ালস, ক্লাইমেট রেসপন্সিভ আর্কিটেকচার, অ্যাসথেটিক্স, সার্ভে মেথডস, কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড সিস্টেমসসহ অন্যান্য বিষয়। কোর্সটির খরচ ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) উপর ভিত্তি করে এখানে টিউশন ফিতে রয়েছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। যোগাযোগ :২৯/১, কাওরান বাজার তেজগাঁও, ঢাকা।

দ্রষ্টব্য: এই খবরটি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রেরিত পেস রিলিজের উপরে ভিত্তি করে করা হয়েছে। ভর্তি হবার জন্য আপনি নিজে সঠিক ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর ভর্তি হোন।

আরও পড়ুন:

প্লেন টেবিল জরিপ পদ্ধতি | প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা | সার্ভেয়িং ১

প্লেন টেবিল জরিপ পদ্ধতি | প্লেন টেবিল জরিপের মৌলিক ধারণা | সার্ভেয়িং ১, প্লেন টেবিল জরিপ প্রতিসাম্য, সমান্তরাল সমানুপাতিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত নিচের চারটি পদ্ধতিতে প্লেন টেবিল জরিপ করা যায়,

 

প্লেন টেবিল জরিপ পদ্ধতি

যথা—

১। রেডিয়েশন (Radiation)

২। ইন্টারসেকশন (Intersection)

৩। ট্র্যাভার্সিং (Traversing) ও

৪। রিসেকশন (Resection)।

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োগ করতে হয়। যেমন— যখন স্টেশনগুলোতে যাওয়া যায়, পার্শ্ববর্তী স্টেশন হতে অন্যান্য স্টেশনগুলো দেখা যায় না কিন্তু মাঠের মাঝামাঝি কোনো স্থান হতে সকল স্টেশনই দেখা যায়, তখন রেডিয়েশন বা বিকিরণ পদ্ধতিতে জরিপ করে নকশা প্রণয়ন করা যায় ।

 

 

আবার যখন সব কয়টি স্টেশন ভিত্তি রেখাস্থ স্টেশন হতে দেখা যায় এবং অন্যান্য স্টেশনগুলোতে যাওয়া যায় না এরূপ ক্ষেত্রে ইনটারসেকশন বা ছেদন পদ্ধতিতে জরিপ করা যায়। পাহাড়িয়া অঞ্চলে সাধারণ দূরত্বের বাইরের কোনো বস্তুকে নকশায় উঠাতে এ পদ্ধতি বিশেষভাবে উপযোগী । আবার যখন স্টেশনগুলোর প্রত্যেকটি হতেই তার অগ্র ও পশ্চাৎ স্টেশন দেখা যায়, প্রত্যেকটি স্টেশনেই যাওয়া যায়, এলাকার পরিসরও ছোট এবং স্কেলও বড় এরূপ ক্ষেত্রে ট্র্যাভার্সিং বা ঘের পদ্ধতিতে জরিপ করা সহজসাধ্য।

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আবার যখন সব স্টেশনে যাওয়া যায় এবং প্রত্যেক স্টেশন হতে দুই বা ততোধিক স্টেশন দেখা যায়, তখন রিসেকশন বা পুনশ্ছেদন পদ্ধতিতে জরিপ করা যায় ।

জরিপ বা ভূমি জরিপ হল স্থলজগতের দ্বি-মাত্রিক বা ত্রি-মাত্রিক বিন্দুর অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার দূরত্ব ও কোণ নির্ধারণের কৌশল, পেশা, শিল্প এবং বিজ্ঞান। একজন ভূমি জরিপকারী পেশাদারকে ভূমি জরিপকারী বলা হয়। এই বিন্দুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকে এবং এগুলি প্রায়শই মালিকানা, অবস্থানের জন্য মানচিত্র এবং সীমানা স্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন নির্মাণের জন্য কাঠামোগত উপাদানগুলির পরিকল্পিত অবস্থান বা ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির পৃষ্ঠের অবস্থান, বা সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অন্যান্য উদ্দেশ্যে। বা নাগরিক আইন, যেমন সম্পত্তি বিক্রয়।

আরও দেখুনঃ

প্রিজমেটিক কম্পাস ও সার্ভেয়ার্স কম্পাসের মধ্যে পার্থক্য | কম্পাস জরিপ প্রক্রিয়া | সার্ভেয়িং ১

প্রিজমেটিক কম্পাস ও সার্ভেয়ার্স কম্পাসের মধ্যে পার্থক্য | কম্পাস জরিপ প্রক্রিয়া | সার্ভেয়িং ১ ,ডাচ গণিতবিদ উইলেব্রোর্ড স্নেলিয়াস (ওরফে স্নেল ভ্যান রয়েন) ত্রিভুজকরণের আধুনিক পদ্ধতিগত ব্যবহার চালু করেছিলেন। 1615 সালে তিনি আলকমার থেকে ব্রেডা পর্যন্ত প্রায় 72 মাইল (116 কিমি) দূরত্ব জরিপ করেন। তিনি এই দূরত্বকে 3.5% অবমূল্যায়ন করেছেন। সমীক্ষাটি ছিল চতুর্ভুজের একটি শৃঙ্খল যাতে মোট 33টি ত্রিভুজ রয়েছে। স্নেল দেখিয়েছেন কিভাবে প্ল্যানার সূত্রগুলো পৃথিবীর বক্রতার জন্য সংশোধন করা যেতে পারে।

 

 

প্রিজমেটিক কম্পাস ও সার্ভেয়ার্স কম্পাসের মধ্যে পার্থক্য | কম্পাস জরিপ প্রক্রিয়া | সার্ভেয়িং ১

তিনি অজানা বিন্দুতে শীর্ষবিন্দুগুলির মধ্যে নিক্ষিপ্ত কোণগুলি ব্যবহার করে ত্রিভুজের অভ্যন্তরে একটি বিন্দুর অবস্থান কীভাবে পুনরুদ্ধার করতে বা গণনা করতে হয় তাও তিনি দেখিয়েছিলেন। এগুলি কম্পাসের উপর নির্ভরশীল শীর্ষবিন্দুগুলির বিয়ারিংয়ের চেয়ে আরও সঠিকভাবে পরিমাপ করা যেতে পারে। তার কাজ নিয়ন্ত্রণ po এর একটি প্রাথমিক নেটওয়ার্ক জরিপ করার ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছিল  লিওনার্ড ডিগেস একটি থিওডোলাইট বর্ণনা করেছেন যা অনুভূমিক কোণ পরিমাপ করেছে তার বই এ জ্যামিতিক অনুশীলন নামক প্যান্টোমেট্রিয়া (1571)।

 

Joshua Habermel (Erasmus Habermehl) 1576 সালে একটি কম্পাস এবং ট্রাইপড সহ একটি থিওডোলাইট তৈরি করেছিলেন। 1725 সালে জনথন সিসনই প্রথম একটি থিওডোলাইটে একটি টেলিস্কোপ যুক্ত করেছিলেন। 18 শতকে, জরিপ করার জন্য আধুনিক কৌশল এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা শুরু হয়। জেসি রামসডেন 1787 সালে প্রথম নির্ভুল থিওডোলাইট প্রবর্তন করেন। এটি ছিল অনুভূমিক এবং উল্লম্ব সমতলগুলিতে কোণ পরিমাপের একটি যন্ত্র। তিনি তার নিজের ডিজাইনের একটি সঠিক বিভাজক ইঞ্জিন ব্যবহার করে তার মহান থিওডোলাইট তৈরি করেছিলেন।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

র‍্যামসডেনের থিওডোলাইট যন্ত্রটির নির্ভুলতার ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। 1640 সালে উইলিয়াম গ্যাসকোইন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন যা একটি টার্গেট ডিভাইস হিসাবে একটি ইনস্টল করা ক্রসহেয়ার সহ একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। জেমস ওয়াট 1771 সালে দূরত্ব পরিমাপের জন্য একটি অপটিক্যাল মিটার তৈরি করেছিলেন; এটি সমান্তরাল কোণ পরিমাপ করে যেখান থেকে একটি বিন্দুর দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।

নিচে প্রিজমেটিক কম্পাস ও সার্ভেয়ার্স কম্পাসের পার্থক্য দেয়া হলো :

আরও দেখুনঃ

একর কম্বের ব্যবহার | ছোটখাটো যন্ত্রপাতি | সার্ভেয়িং ১

একর কম্বের ব্যবহার | ছোটখাটো যন্ত্রপাতি | সার্ভেয়িং ১ , একর কম্ব নকশার ক্ষেত্রফল একরে নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে নকশার যে-কোনো দাগের (Plots ক্ষেত্রফল সহজেই একরে নির্ণয় করা যায় ।

 

 

একর কম্বের ব্যবহার

ডাচ গণিতবিদ উইলেব্রোর্ড স্নেলিয়াস (ওরফে স্নেল ভ্যান রয়েন) ত্রিভুজকরণের আধুনিক পদ্ধতিগত ব্যবহার চালু করেছিলেন। 1615 সালে তিনি আলকমার থেকে ব্রেডা পর্যন্ত প্রায় 72 মাইল (116 কিমি) দূরত্ব জরিপ করেন। তিনি এই দূরত্বকে 3.5% অবমূল্যায়ন করেছেন। সমীক্ষাটি ছিল চতুর্ভুজের একটি শৃঙ্খল যাতে মোট 33টি ত্রিভুজ রয়েছে। স্নেল দেখিয়েছেন কিভাবে প্ল্যানার সূত্রগুলো পৃথিবীর বক্রতার জন্য সংশোধন করা যেতে পারে। তিনি অজানা বিন্দুতে শীর্ষবিন্দুগুলির মধ্যে নিক্ষিপ্ত কোণগুলি ব্যবহার করে ত্রিভুজের অভ্যন্তরে একটি বিন্দুর অবস্থান কীভাবে পুনরুদ্ধার করতে বা গণনা করতে হয় তাও তিনি দেখিয়েছিলেন।

 

 

এগুলি কম্পাসের উপর নির্ভরশীল শীর্ষবিন্দুগুলির বিয়ারিংয়ের চেয়ে আরও সঠিকভাবে পরিমাপ করা যেতে পারে। তার কাজ কন্ট্রোল পয়েন্টগুলির একটি প্রাথমিক নেটওয়ার্ক জরিপ করার এবং প্রাথমিক নেটওয়ার্কের ভিতরে সহায়ক পয়েন্টগুলি সনাক্ত করার ধারণা প্রতিষ্ঠা করে। 1733 থেকে 1740 সালের মধ্যে, জ্যাক ক্যাসিনি এবং তার ছেলে সিজার ফ্রান্সের প্রথম ত্রিভুজ গঠন করেন। তারা মেরিডিয়ান আর্কের পুনঃ-জরিপ অন্তর্ভুক্ত করে, যার ফলে 1745 সালে কঠোর নীতিতে নির্মিত ফ্রান্সের প্রথম মানচিত্র প্রকাশিত হয়। এই সময়ের মধ্যে স্থানীয় মানচিত্র তৈরির জন্য ত্রিভুজ পদ্ধতিগুলি ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মানুষ প্রথম বড় কাঠামো তৈরি করার পর থেকে জরিপ করা হয়েছে। প্রাচীন মিশরে, নীল নদের বার্ষিক বন্যার পরে সীমানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে একটি দড়ি স্ট্রেচার সরল জ্যামিতি ব্যবহার করত। গিজার গ্রেট পিরামিডের প্রায় নিখুঁত বর্গক্ষেত্র এবং উত্তর-দক্ষিণ অভিযোজন, গ. 2700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ, মিশরীয়দের জরিপ করার আদেশ নিশ্চিত করে। গ্রোমা যন্ত্রের উৎপত্তি মেসোপটেমিয়ায় (খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে)। স্টোনহেঞ্জে প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ (আনুমানিক 2500 খ্রিস্টপূর্ব) প্রাগৈতিহাসিক জরিপকারীরা খুঁটি এবং দড়ি জ্যামিতি ব্যবহার করে স্থাপন করেছিলেন।

আরও দেখুনঃ

সীমান্ত অংশের ক্ষেত্রফল নির্ণয়করণ | ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিভিন্ন পদ্ধতি | সার্ভেয়িং ১

সীমান্ত অংশের ক্ষেত্রফল নির্ণয়করণ | ক্ষেত্রফল নিরূপণের বিভিন্ন পদ্ধতি | সার্ভেয়িং ১ ,কোনো জরিপ রেখার 10 মিটার পর পর সীমান্ত রেখার অফসেটগুলো (মিটারে) নিচে দেয়া হলো। জরিপ রেখা ও সীমা রেখার মধ্যবর্তী অংশের ক্ষেত্রফল (ক) গড় কোটি নিয়ম (খ) ট্রাপিজয়ডাল নিয়ম ও (গ) সিম্পসনের নিয়মে এয়রে নির্ণয় কর।

সীমান্ত অংশের ক্ষেত্রফল নির্ণয়করণ

 

 

মধ্যযুগীয় ইউরোপে, সীমানা মারলে একটি গ্রাম বা প্যারিশের সীমানা বজায় থাকত। এটি ছিল সীমানার একটি সাম্প্রদায়িক স্মৃতি স্থাপনের জন্য একদল বাসিন্দাকে জড়ো করা এবং প্যারিশ বা গ্রামের চারপাশে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস। স্মৃতি যতদিন সম্ভব স্থায়ী হয় তা নিশ্চিত করার জন্য অল্প বয়স্ক ছেলেদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ইংল্যান্ডে, উইলিয়াম দ্য কনকারর 1086 সালে ডোমসডে বুক কমিশন করেছিলেন। এতে সমস্ত জমির মালিকদের নাম, তাদের মালিকানাধীন জমির এলাকা, জমির গুণমান এবং এলাকার বিষয়বস্তু এবং বাসিন্দাদের নির্দিষ্ট তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এতে সঠিক অবস্থান দেখানো মানচিত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।18 শতকে, জরিপ করার জন্য আধুনিক কৌশল এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা শুরু হয়। জেসি রামসডেন 1787 সালে প্রথম নির্ভুল থিওডোলাইট প্রবর্তন করেন। এটি ছিল অনুভূমিক এবং উল্লম্ব সমতলগুলিতে কোণ পরিমাপের একটি যন্ত্র।

 

 

তিনি তার নিজের ডিজাইনের একটি সঠিক বিভাজক ইঞ্জিন ব্যবহার করে তার মহান থিওডোলাইট তৈরি করেছিলেন। র‍্যামসডেনের থিওডোলাইট যন্ত্রটির নির্ভুলতার ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। 1640 সালে উইলিয়াম গ্যাসকোইন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন যা একটি টার্গেট ডিভাইস হিসাবে একটি ইনস্টল করা ক্রসহেয়ার সহ একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। জেমস ওয়াট 1771 সালে দূরত্ব পরিমাপের জন্য একটি অপটিক্যাল মিটার তৈরি করেছিলেন; এটি সমান্তরাল কোণ পরিমাপ করে যেখান থেকে একটি বিন্দুর দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।

 

 

আরও দেখুন:

অগম্য বিন্দু হতে টেপ বা শিকলের সাহায্যে লম্ব স্থাপন প্রক্রিয়া | শিকল জরিপের পরিমাপে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমকরণ | সার্ভেয়িং ১

অগম্য বিন্দু হতে টেপ বা শিকলের সাহায্যে লম্ব স্থাপন প্রক্রিয়া | শিকল জরিপের পরিমাপে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমকরণ | সার্ভেয়িং ১ ,ধরে নিই, PQ শিকল রেখার বাইরের D অগম্য বিন্দু হতে PQ এর উপর লম্ব স্থাপন করতে হবে। এখন PQ এর উপর যে-কোনো দুটি বিন্দু A ও C নিই। AD এবং CD যোগ করি। এবার A বিন্দু হতে CD এর উপর এবং C বিন্দু হতে AD এর উপর যথাক্রমে AN ও CM লম্ব বিন্দু স্থাপন করি ।

 

 

অগম্য বিন্দু হতে টেপ বা শিকলের সাহায্যে লম্ব স্থাপন প্রক্রিয়া | শিকল জরিপের পরিমাপে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমকরণ | সার্ভেয়িং ১

এরা পরস্পরকে O বিন্দুতে ছেদ করে। D, O যোগ করে বর্ধিত করলে PQ রেখাকে B বিন্দুতে ছেদ করে। এখন B বিন্দুই D হতে পতিত লম্বের পাদমূল। অর্থাৎ PQ রেখার B বিন্দুতে বাইরের D বিন্দু লম্ব উৎপন্ন করবে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

শিকল জরিপে বাধাবিপত্তি (Obstacles in chaining) : 

শিকল জরিপে বিভিন্ন বাধাবিপত্তির (যেমন- টিলা, পাহাড়, জঙ্গল, দালানকোঠা, পুকুর, নদী ইত্যাদি) কারণে শিকল রেখা সোজাসুজি পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের বাধাবিপত্তি বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনে অতিক্রম করে শিকল রেখার দৈর্ঘ্য মাপা হয়। এ সকল বাধাবিপত্তিসমূহকে সাধারণত তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা—

(ক) দর্শন বাধামুক্ত, মাপন বাধাগ্রস্ত (Vision free, chaining obstructed)

(খ) মাপন বাধামুক্ত, দর্শন বাধাগ্রস্ত (Chaining free, vision obstructed)

(গ) মাপন ও দর্শন উভয়ই বাধাগ্রস্ত (Both chaining and vision obstructed) ।

 

 

জরিপ বা ভূমি জরিপ হল স্থলজগতের দ্বি-মাত্রিক বা ত্রি-মাত্রিক বিন্দুর অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার দূরত্ব ও কোণ নির্ধারণের কৌশল, পেশা, শিল্প এবং বিজ্ঞান। একজন ভূমি জরিপকারী পেশাদারকে ভূমি জরিপকারী বলা হয়। এই বিন্দুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকে এবং এগুলি প্রায়শই মালিকানা, অবস্থানের জন্য মানচিত্র এবং সীমানা স্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন নির্মাণের জন্য কাঠামোগত উপাদানগুলির পরিকল্পিত অবস্থান বা ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির পৃষ্ঠের অবস্থান, বা সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অন্যান্য উদ্দেশ্যে। বা নাগরিক আইন, যেমন সম্পত্তি বিক্রয়।

আরও দেখুন: